ছবি: ইন্টারনেট
তীব্র আর্থিক সংকটে সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক বন্ধ হয়ে গেছে। শুক্রবার (১০ মার্চ) মূলধন তলানিতে ঠেকে। ফলে ব্যাংকটির নিয়ন্ত্রণ নেয় ফেডারেল ডিপোজিট ইন্স্যুরেন্স করপোরেশন (এফডিআইসি)। যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
ক্যালিফোর্নিয়ার সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক বন্ধের খবরে শিল্প খাতে হতাশা নেমেছে। আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন গ্রাহকরা। পরিপ্রেক্ষিতে শিগগিরই আরও কয়েকটি ব্যাংকে তালা ঝুলতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
২০০৮ সালে মন্দার সময় এমন নাজুক পরিস্থিতির শিকার হয় আরও কয়েকটি ব্যাংক। সেটি ছিল আর্থিক অব্যবস্থাপনায় বড় উদাহরণ। আর ২০২৩ সালের ঘটনাকে দ্বিতীয় বৃহত্তম দৃষ্টান্ত হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে।
বিগত ৪০ বছর ধরে সুনামের সঙ্গে কাজ করে আসছিল ‘সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক’। ২০২২ সালে শেষার্ধেও ব্যাংকটির সম্পদের পরিমাণ ছিল ২০৯ বিলিয়ন ডলার।
তবে চলতি বছর এটি দেউলিয়া হওয়ার পথে চলে যায়। ইতোমধ্যে সেটি বিক্রির উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। তবে একজন ক্রেতাও এগিয়ে আসেননি।
সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক বন্ধ হওয়ায় নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে শেয়ারবাজারে। বড় ধরনের অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। গোটা বিশ্বের আর্থিক সেক্টরে যা নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
ওই দিন সিলিকন ভ্যালি ব্যাংকে ডলার ওঠাতে যান গ্রাহকরা। তবে গিয়ে দেখেন, কোষাগারে অর্থ নেই। অথচ একপর্যায়ে এটি ছিল যুক্তরাষ্ট্রে ১৬তম বৃহত্তম ব্যাংক।
তবে গ্রাহকদের আশ্বস্ত করে মার্কিন অর্থমন্ত্রী জানেত ইয়েলেন বলেন, এতে অস্থির হওয়ার কিছু নেই। ব্যাংকিং সিস্টেম স্বাভাবিক কার্যক্রম চালাবে।
প্রযুক্তিনির্ভর নতুন কোম্পানি প্রতিষ্ঠায় ঋণ প্রদান করত সিলিকন ভ্যালি। এক্ষেত্রে বিশ্বের অন্যতম প্রধান ব্যাংক হিসেবে পরিচিত পেয়েছিল এটি।































