ছবি সংগৃহীত
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)কে পাশে না রেখে জুলাই অভ্যুত্থানে নিহত ও আহতদের পরিবারকে দলে যুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে বিএনপি। মুক্তিযুদ্ধের পাশাপাশি ওই অভ্যুত্থানকেও দলের রাজনৈতিক ইতিহাসে অন্তর্ভুক্ত করতে চায় তারা। এ কারণে অভ্যুত্থানে নিহত মীর মুগ্ধের ভাই মীর স্নিগ্ধকে একটি আসনে মনোনয়ন দেয়ার কথাও ভাবছে দলটি।
দলীয় সূত্র জানায়, এনসিপির সঙ্গে আসন ভাগাভাগি নিয়ে সমঝোতা না হওয়ায় দুই দলের সম্পর্কের টানাপোড়েন তৈরি হয়েছে। শুরুতে এনসিপি বিএনপিকে ২০ আসন ছেড়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেয়, কিন্তু বিএনপি রাজি হয় মাত্র ৫টিতে। ফলে আলোচনা আর এগোয়নি।
প্রস্তাবিত আসনগুলো ছিল ঢাকা-৭, ৯, ১০, ১১ ও রংপুর-৪। এর মধ্যে দুই আসনে ইতিমধ্যে বিএনপি প্রার্থী ঘোষণা করেছে। ফলে এনসিপির সঙ্গে সমঝোতার সুযোগ আরও কমে গেছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, এখনো এনসিপির সঙ্গে কোনো চূড়ান্ত সমঝোতা হয়নি। বিএনপি ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের শরিকদের নিয়েই জাতীয় সরকার ও নির্বাচনের রূপরেখা চূড়ান্ত করবে।
এ মাসেই বাকি ৬৩ আসনে প্রার্থী ঘোষণা শেষ করতে চায় বিএনপি। দলের নেতাদের মতে, ঘোষিত ২৩৭ আসনের কয়েকটিতে প্রার্থী পরিবর্তনের সম্ভাবনাও আছে। ক্ষোভ কমাতে শীর্ষ নেতৃত্ব বঞ্চিতদের সঙ্গে আলোচনা করবে।
স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, কিছু আসনে মনোনয়ন নিয়ে অসন্তোষ থাকলেও দলের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। প্রয়োজনে কিছু ক্ষেত্রে পুনর্বিবেচনার সুযোগ রাখা হয়েছে।
এদিকে, মনোনয়নবঞ্চিতদের প্রতিবাদে কয়েক জেলায় উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। এর মধ্যে ফেনীতে জেলা বিএনপির নেতা আলাল উদ্দিন আলালের “রিভিউ আবেদন” করে মাঠে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করা ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
দলীয় সূত্র বলছে, ঘোষণাহীন আসনগুলোর প্রার্থী চূড়ান্ত করতে সরাসরি মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সঙ্গে কথা বলছেন তারেক রহমান, আর ছোট দলের সঙ্গে সমন্বয় করছেন বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি।































