ছবি সংগৃহীত
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের স্ত্রী ও কন্যার ছবি শেয়ার করে বলেছেন, বর্তমান পৃথিবী তার কন্যার জন্য আগের প্রজন্মের তুলনায় অনেক ভিন্ন। ডিজিটাল দুনিয়া মানুষের দৈনন্দিন জীবন ও রাষ্ট্রীয় কার্যক্রমে ব্যাপক প্রভাব ফেলছে।
তারেক রহমান বলেন, দেশের মেয়েরা, কন্যাশিশু, তরুণী, মা, বোন বা সহকর্মী কেউ যেন ভয়ভীতি বা হেনস্তার মুখে না পড়ে। অনলাইনে ও অফলাইনে, ঘরে বা বাইরে, ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনে নারীদের নিরাপদ বোধ নিশ্চিত করা জরুরি।
নারী নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বিএনপি যে পাঁচটি অগ্রাধিকার বাস্তবায়নের পরিকল্পনা করেছে তা তিনি তুলে ধরেন—
১. ন্যাশনাল অনলাইন সেফটি সিস্টেম: সাইবার বুলিং, হুমকি বা ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁসের অভিযোগ দ্রুত জানাতে ২৪/৭ হটলাইন, অনলাইন পোর্টাল ও প্রশিক্ষিত রেসপন্ডার থাকবে। বড় প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে সমন্বয় করে বাংলা কনটেন্ট দ্রুত মডারেশন হবে।
২. পাবলিক লাইফে নারীর সুরক্ষা প্রোটোকল: সাংবাদিক, শিক্ষার্থী বা সমাজকর্মীসহ যেকোনো নারী হুমকি বা হামলার মুখে পড়লে জাতীয় নির্দেশিকা, দ্রুত আইনি ও ডিজিটাল সহায়তা ও গোপন রিপোর্টিং চ্যানেল নিশ্চিত করা হবে।
৩. ডিজিটাল সেফটি শিক্ষা: স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ওরিয়েন্টেশন থেকে ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ। শিক্ষকরা ‘সেফটি ফোকাল পয়েন্ট’ হিসেবে প্রশিক্ষিত হবেন। বার্ষিক সচেতনতা ক্যাম্পেইন চলবে।
৪. কমিউনিটি স্তরে নারীর নিরাপত্তা জোরদার: কমিউনিটি হেল্প ডেস্ক, নিরাপদ যাতায়াতপথ, উন্নত রাস্তার আলো ও ট্রমা-সেনসিটিভ রেসপন্ডারদের মাধ্যমে দৈনন্দিন জীবন নিরাপদ হবে।
৫. নারীর নেতৃত্ব ও অংশগ্রহণ বৃদ্ধি: লিডারশিপ ট্রেনিং, মেন্টরিং নেটওয়ার্ক এবং শিশু যত্ন সুবিধা সম্প্রসারণের মাধ্যমে নারীরা নেতৃত্ব দিতে ও পূর্ণ অবদান রাখতে সক্ষম হবেন।
তারেক রহমান বলেন, “নারী উন্নত হলে, জাতি উন্নত হয়। নারী যখন নিরাপদ, সমর্থিত ও ক্ষমতাবান, তখন বাংলাদেশ অপ্রতিরোধ্য।” তিনি আহ্বান জানিয়েছেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এই বাংলাদেশ গড়ে তোলায় সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।































