ছবি সংগৃহীত
প্রতিবছর করদাতাদের তাদের আয় ও ব্যয়ের পূর্ণ বিবরণ আয়কর রিটার্নে সঠিকভাবে প্রদর্শন করতে হয়। এর মধ্যে বছরের শেষে হাতে থাকা নগদ অর্থ ও ব্যাংক হিসাবের সঞ্চয় দেখানো বাধ্যতামূলক। কারণ এই তথ্য পরবর্তী বছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
ব্যাংক সঞ্চয় প্রদর্শনের নিয়ম
১. ৩০ জুনের ব্যালান্স:
প্রতিটি ব্যাংক হিসাবের ৩০ জুন তারিখের ব্যালান্স অনুযায়ী তথ্য দিতে হবে।
২. একাধিক ব্যাংক হিসাব:
যদি একাধিক ব্যাংক হিসাব থাকে, তবে প্রতিটির ব্যালান্স আলাদাভাবে উল্লেখ করতে হবে।
৩. নিজের অর্থই জমা রাখুন:
শুধু নিজের অর্জিত অর্থই ব্যাংকে রাখা উচিত। আত্মীয় বা বন্ধুর টাকা নিজের নামে জমা দিলে তা কর আইনে জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে।
৪. বড় লেনদেনের নিয়ম:
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) নিয়ম অনুযায়ী, ৫ লাখ টাকার বেশি লেনদেন ব্যাংকের মাধ্যমে করতেই হবে।
নগদ সঞ্চয় প্রদর্শনের সতর্কতা
১. অস্বাভাবিক নগদ এড়িয়ে চলুন:
রিটার্নে অস্বাভাবিক বড় অঙ্কের নগদ অর্থ দেখালে কর কর্তৃপক্ষ তা যাচাইয়ের জন্য নিরীক্ষা করতে পারে।
২. প্রকৃত নগদ দেখান:
৩০ জুন তারিখে হাতে যত নগদ ছিল, কেবল সেই পরিমাণই রিটার্নে প্রদর্শন করা উচিত।
৩. সমবায়ী অর্থের হিসাব:
যদি কারও সঙ্গে যৌথভাবে অর্থ রাখা থাকে, দলিল ছাড়া তা রিটার্নে দেখানো যাবে না।
৪. বিনিয়োগে ব্যবহার:
জমি বা সম্পদ কেনাকাটায় ব্যবহৃত নগদ অর্থও বৈধ হিসাবের অংশ হিসেবে গণ্য হবে, যদি তার উৎস আয়কর রিটার্নে দেখানো থাকে।
করদাতাদের জন্য সতর্কবার্তা
ব্যাংকে শুধু নিজের আয় জমা রাখুন, অন্যের অর্থ রাখলে ব্যাখ্যা দিতে হবে।
অতিরিক্ত বা অযৌক্তিক নগদ প্রদর্শন থেকে বিরত থাকুন।
ব্যাংক ও নগদ সঞ্চয়ের সঠিক হিসাব রাখলে ভবিষ্যতে আর্থিক পরিকল্পনা সহজ হয় এবং কর সংক্রান্ত ঝুঁকি কমে।































