ছবি সংগৃহীত
তাজরীন ফ্যাশনস অগ্নিকাণ্ডের ১৩ বছর পেরোলেও ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের জীবন এখনো স্থবির। আজ সকালে সাভারের আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুরে পরিত্যক্ত কারখানা ভবনের সামনে পাঁচ নারী শ্রমিক কাঁথা মুড়িয়ে শুয়ে থেকে ক্ষতিপূরণ, পুনর্বাসন এবং মালিকের শাস্তির দাবি জানান। তাঁরা সবাই ২০১২ সালের অগ্নিকাণ্ডে আহত হয়েছিলেন।
গোপালগঞ্জ থেকে আসা নাটা বেগম জানান, তিনতলা থেকে লাফিয়ে বেঁচে যান তিনি। রংপুরের মাহমুদা বেগমেরও অভিজ্ঞতা একই—আগুনের সময় পালাতে গিয়ে গেটে তালা পেয়ে নিচে পড়ে গুরুতর আহত হন। মাদারীপুরের খাদিজা আক্তার বলেন, ছয়তলা থেকে নামতে না পেরে ছাদে উঠতে হয়েছিল। পরে নিচে পড়ে মাথায় আঘাত পেয়ে দীর্ঘদিন মানসিক সমস্যা ভুগেছেন। স্বামী সংসারও টেকেনি।
২০১২ সালের ২৪ নভেম্বরের ওই অগ্নিকাণ্ডে ১১১ জন শ্রমিক মারা যান, আহত হন অনেকেই। আজ সকাল থেকে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতা-কর্মী, স্বজন এবং শ্রমিকেরা ভবনের সামনে জড়ো হয়ে শ্রদ্ধা জানান এবং বিক্ষোভ করেন।
বাংলাদেশ গার্মেন্ট ও সোয়েটার্স শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের আইনবিষয়ক সম্পাদক খায়রুল মামুন বলেন, তাজরীনের ঘটনা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। তাঁর অভিযোগ, বিগত সরকার ক্ষতিপূরণ বা পুনর্বাসনের কার্যকর উদ্যোগ নেয়নি, উল্টো মালিককে সুবিধা দিয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের দেওয়া ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের আশ্বাসও দেড় বছর ধরে বাস্তবায়ন হয়নি।
শ্রমিক নেতাদের দাবি, দ্রুত ক্ষতিপূরণ, পুনর্বাসন এবং দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।































