
ছবি সংগৃহীত
কেন্দ্রীয় কর্মসূচি পালনকালে নারায়ণগঞ্জে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে দুটি বেসরকারী টেলিভিশন চ্যানেলের ক্যামেরাম্যানসহ ১৫ জন আহত হয়েছে। এ সময় দু’পক্ষের লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া সংঘর্ষে জড়ায়। এ সময় চারটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। একটি মোটরসাইকেলসহ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দুটি টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছে।
বুধবার (৩০ আগস্ট) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে মহানগর বিএনপির মৌন মিছিলে এই ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে গুমের শিকার ব্যক্তিদের স্মরণে আর্ন্তজাতিক গুম দিবস উপলক্ষ্যে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি মৌন মিছিলের আয়োজন করে। সেখানে বিএনপির নেতাকর্মীরা জড়ো হতে শুরু করে। বিকেল চারটার দিকে শহরের বালু মাঠ এলাকা থেকে একদল লোক লাঠিসোটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে বিএনপির কর্মসূচিস্থলে আসে।
এ সময় চারটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। একপর্যায়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের মাঝে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। দু’পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় একটি মোটর সাইকলে ও কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। পরে পুলিশ বিএনপির নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে দুটি টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।
সংঘর্ষে বেসরকারী টেলিভিশন সময় টিভির ক্যামেরাপারসন আরিফ হোসেন, ৭১ টিভির ক্যামেরাপারসন জামিল হোসেন উল্লাস ও সমকালের ফটোসাংবাদিক মেহেদী হাসানসহ ১৫ জন আহত হয়েছে। এ সময় বঙ্গবন্ধু সড়কে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিচুর রহমান বলেন, বিএনপির মৌন মিছিল ও কালো ব্যজ ধারণ কর্মসূচি পালন করার কথা ছিল। সেখানে বিএনপির নেতাকর্মীরা লাঠিসোটা নিয়ে অবস্থান করছিল। কর্মসূচি পালনের এক পর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে তারা গাড়ি ভাঙচুর করেছে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দুটি টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছে।