ছবি সংগৃহীত
বাংলাদেশে যুক্তরাজ্যের ভিসা সংক্রান্ত প্রতারণা বেড়েছে বলে সতর্ক করেছে ইউকে ইন বাংলাদেশ। তারা জানিয়েছে, কোনো ইমেইল, ফোনকল বা চিঠিতে কেউ নিজেকে ভিসা কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে টাকা বা ব্যক্তিগত তথ্য চাইলে ধরে নিতে হবে এটি প্রতারণা। ভিসা অফিস কখনোই ফোন বা ইমেইলে টাকা চায় না।
ইউকের পরামর্শ, যেকোনো ভিসা আবেদনে শুধু সরকারি ওয়েবসাইটের (.gov.uk) সেবা ব্যবহার করুন। অনুমোদনহীন দালাল বা এজেন্টের মাধ্যমে আবেদন করলে ভুল তথ্য পাওয়ার ঝুঁকি থাকে, প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনাও বেশি।
প্রতারকেরা সাধারণত সহজে ভিসা পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেয়, ভুয়া চাকরির অফার লেটার পাঠায় বা ভিসা বাতিলের ভয় দেখিয়ে জরুরি ভিত্তিতে টাকা দাবি করে। তারা কখনো কখনো ভিসা কর্মকর্তা বা ভিএফএস কর্মী সেজেও যোগাযোগ করে। অনেকেই ওয়ার্ক বা স্টুডেন্ট ভিসার নামে ভুয়া ডিপোজিট চায়, যা যুক্তরাজ্যের ভিসা প্রক্রিয়ায় নেই।
ভুয়া ওয়েবসাইট বা ইমেইল ঠিকানাও প্রতারণার বড় অংশ। সরকারি ইমেইল সাধারণত [email protected]
—এই রকম হয়। ফ্রি ইমেইল বা ভুল বানানযুক্ত বার্তা সন্দেহের কারণ।
সতর্ক থাকার উপায় হলো: অতিরিক্ত ভালো অফার বিশ্বাস না করা, দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে চাপ দিলে সতর্ক হওয়া এবং কখনোই অচেনা ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো না। সন্দেহ হলে তথ্য বা টাকা কোনোভাবেই দেবেন না।
যদি প্রতারণার শিকার হন বা সন্দেহ হয়, যুক্তরাজ্যে থাকলে অ্যাকশন ফ্রডে অভিযোগ করা যায়। বিদেশে থাকলে স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকেই জানান।































