ছবি সংগৃহীত
নবগঠিত পে কমিশন সরকারি কর্মচারীদের জন্য নতুন বেতন কাঠামো প্রণয়নের কাজ শুরু করেছে। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী বিভিন্ন সংগঠন ইতিমধ্যেই তাদের প্রস্তাব কমিশনের কাছে জমা দিয়েছে।
বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী কল্যাণ ফেডারেশনের প্রস্তাবে সর্বনিম্ন বেতন ৩৫ হাজার টাকা নির্ধারণ এবং বর্তমান ২০টি গ্রেড কমিয়ে ১২টিতে নামানোর সুপারিশ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক বলেন, সর্বশেষ পে স্কেল ২০১৫ সালে দেওয়া হয়েছিল। ২০২০ সালে নতুন স্কেল হওয়া উচিত ছিল, কিন্তু তা হয়নি। এর ফলে সরকারি কর্মচারীরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক সি আর আবরার জানিয়েছেন, নতুন পে স্কেলের প্রস্তাব আগামী জানুয়ারি বা ফেব্রুয়ারি সরকারের কাছে জমা দেওয়া হতে পারে। তিনি বলেন, প্রাথমিক অনুমান অনুযায়ী বেতন ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে, কিছু ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ পর্যন্তও হতে পারে।
অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বেতন দ্বিগুণ হলে সরকারের অতিরিক্ত ব্যয় দাঁড়াতে পারে প্রায় ৮০ হাজার কোটি টাকা, গড়ে ৯০ শতাংশ বৃদ্ধি হলে ৭০–৭৫ হাজার কোটি টাকা, আর ৮০ শতাংশ বৃদ্ধিতে ৬৫–৭০ হাজার কোটি টাকা।
নতুন পে স্কেলে শুধু বেতন নয়, ভাতা কাঠামোতেও পরিবর্তন আনা হবে। এর লক্ষ্য মুদ্রাস্ফীতি বিবেচনা করে জীবনযাত্রার মান সমন্বয় এবং সরকারি কর্মচারীদের ক্রয়ক্ষমতা পুনরুদ্ধার।































