ছবি সংগৃহীত
প্রধান উপদেষ্টা প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার অধ্যাদেশ চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়েছে। নতুন আইনে গুম করার অপরাধে মৃত্যুদণ্ডসহ কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন,
“গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে আলোচনা হয়েছে। এবার এটি চূড়ান্তভাবে অনুমোদন করা হয়েছে। অধ্যাদেশে গুমকে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে এবং চলমান অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করে শাস্তি নির্ধারণ করা হয়েছে।”
আইনে বলা হয়েছে, গোপন আটক কেন্দ্র বা ‘আয়নাঘর’ ব্যবহার শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এছাড়া ভুক্তভোগী ও সাক্ষীর অধিকার সুরক্ষা, ক্ষতিপূরণ এবং আইনগত সহায়তা নিশ্চিত করার বিধান রাখা হয়েছে। অভিযোগ গঠনের ১২০ দিনের মধ্যে বিচার সম্পন্ন করার বাধ্যবাধকতাও রয়েছে।
অধ্যাদেশে গুম প্রতিরোধ, প্রতিকার ও সুরক্ষার জন্য তহবিল গঠন ও তথ্যভাণ্ডার স্থাপন সংক্রান্ত বিধানও সংযোজিত হয়েছে।
শফিকুল আলম জানান, অধ্যাদেশটি আন্তর্জাতিক কনভেনশন “ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন ফর দি প্রটেকশন অব অল পারসনস ফ্রম এনফোর্সড ডিসঅ্যাপিয়ারেন্স” অনুসারে তৈরি করা হয়েছে, যাতে ভবিষ্যতে কোনো ফ্যাসিস্ট সরকার গুমের রাজত্ব চালাতে না পারে।
তিনি বলেন, অধ্যাদেশ অনুমোদনের ফলে দেশে আর কোনো আয়নাঘর কার্যকর হবে না এবং গুমের মতো ভয়ঙ্কর ঘটনা রোধ করা সম্ভব হবে।































