
ছবি সংগৃহীত
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আজ রোববার সূচনা বক্তব্য ও সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। আদালতের অনুমতিক্রমে সকাল সাড়ে ১১টা থেকে বিচার কার্যক্রম সরাসরি সম্প্রচার করা হচ্ছে।
মামলার অন্য দুই আসামি হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। মামুন এই মামলায় দায় স্বীকার করে রাজসাক্ষী হিসেবে আদালতে সাক্ষ্য দিচ্ছেন।
আজ সকালে তাকে কারাগার থেকে প্রিজনভ্যানে করে ট্রাইব্যুনালে আনা হয়। এ সময় তার হাতে কোনো হাতকড়া বা মাথায় হেলমেট ছিল না। ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণ ও আশপাশে কঠোর নিরাপত্তা গ্রহণ করা হয়েছে।
গত ১০ জুলাই ট্রাইব্যুনাল আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। মামলায় শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে—
- উসকানিমূলক বক্তব্যের মাধ্যমে সহিংসতা ও গণহত্যায় প্ররোচনা,
- আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ,
- নিরীহ আন্দোলনকারীদের হত্যা ও নিপীড়ন।
প্রথম অভিযোগে বলা হয়, ১৪ জুলাই গণভবনে দেওয়া শেখ হাসিনার বক্তব্যের পর পুলিশের গুলিতে দেড় হাজারের বেশি মানুষ নিহত এবং ২৫ হাজারের বেশি আহত হন।
অভিযোগপত্রে আরও উল্লেখ করা হয়, হেলিকপ্টার, ড্রোন এবং আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের মাধ্যমে হত্যাকাণ্ড পরিচালনার নির্দেশনা শেখ হাসিনা সরাসরি দেন, যা তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইজিপি বাস্তবায়ন করেন।
এই মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে সুপিরিয়র রেসপনসিবিলিটি বা "সর্বোচ্চ দায়দায়িত্বের" ভিত্তিতে অভিযোগ আনা হয়েছে।
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বর্তমানে মানবতাবিরোধী অপরাধে আরও তিনটি মামলা বিচারাধীন। এর মধ্যে আদালত অবমাননায় এক মামলায় ইতোমধ্যে তাকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।