বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৈশাখ ১২ ১৪৩১

Aloava News24 | আলোআভা নিউজ ২৪

পিএইচডি গবেষণার ৯৮ শতাংশই নকল, ঢাবি শিক্ষকের ডিগ্রি বাতিল

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১২:১৩, ৩১ আগস্ট ২০২২

আপডেট: ১২:১৩, ৩১ আগস্ট ২০২২

পিএইচডি গবেষণার ৯৮ শতাংশই নকল, ঢাবি শিক্ষকের ডিগ্রি বাতিল

ছবি সংগৃহীত

পিএইচডির থিসিস জালিয়াতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আবুল কালাম লুৎফুল কবীরের ‘ডক্টরেট’ ডিগ্রি বাতিল করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) সন্ধ্যায় সিন্ডিকেটের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। একাধিক সিন্ডিকেট সদস্য বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান এতে সভাপতিত্ব করেন। লুৎফুল কবির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

সিন্ডিকেট সদস্য এবং ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির গণমাধ্যমকে বলেন, পিএইচডির থিসিস জালিয়াতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় লুৎফুল কবীরের ডিগ্রি বাতিল ও পদাবনতির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিন্ডিকেট। উনার পিএইচডির গবেষণা অভিসন্দর্ভের (থিসিস) ৯৮ শতাংই রয়েছে হুবহু নকল। তাকে সহযোগী অধ্যাপক থেকে সহকারী অধ্যাপকে পদাবনতির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিন্ডিকেট।

জানা গেছে, ২০১৪ সালে ‘টিউবারকিউলোসিস অ্যান্ড এইচআইভি কো-রিলেশন অ্যান্ড কো-ইনফেকশন ইন বাংলাদেশ: অ্যান এক্সপ্লোরেশন অব দেয়ার ইমপ্যাক্টস অন পাবলিক হেলথ’ শীর্ষক নিবন্ধের কাজ শুরু করেন লুৎফুল কবীর। তার গবেষণার তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক আবু সারা শামসুর রউফ। সহ-তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন জ্যেষ্ঠ শিক্ষক অধ্যাপক আ ব ম ফারুক।

সহ-তত্ত্ববধায়করা অনুরোধ করলেও অভিসন্দর্ভের কপি তাদের নিকট সরবরাহ না করার অভিযোগ ছিল লুৎফুল কবীরের বিরুদ্ধে। ২০২০ সালের ২৫ জানুয়ারি তার গবেষণায় চৌর্যবৃত্তি নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়।

এরপর ফেব্রুয়ারির সিন্ডিকেট সভায় তাকে প্রশাসনিক ও শিক্ষা কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। তদন্ত কমিটিও করে দেয় সিন্ডিকেট। ২০২১ সালের ২৮ অক্টোবর তাকে শাস্তি দিতে ট্র্যাইবুনাল গঠন হয়।
 

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়