 
											ছবি সংগৃহীত
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশ তাপমাত্রা বৃদ্ধির হারে বিশ্বের দ্বিতীয় স্থানে পৌঁছেছে। বিশ্বব্যাংকের এক গবেষণায় বলা হয়েছে, ১৯৮০ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বেড়েছে ১.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আর “অনুভূত তাপমাত্রা” বেড়েছে ৪.৫ ডিগ্রি।
মঙ্গলবার রাজধানীর এক অনুষ্ঠানে প্রকাশিত “বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ও অর্থনীতিতে তাপের প্রভাব” শীর্ষক প্রতিবেদনে জানানো হয়, গরমের কারণে দীর্ঘমেয়াদি কাশি, ডায়েরিয়া, ক্লান্তি, বিষণ্নতা ও উদ্বেগ বাড়ছে। ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রায় এসব ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়।
অর্থনীতিতেও এর প্রভাব স্পষ্ট। ২০২৪ সালে তীব্র গরমে প্রায় ২১ হাজার কোটি টাকার কর্মদিবস নষ্ট হয়ে ক্ষতি হয়েছে ১.৩৩–১.৭৮ বিলিয়ন ডলার, যা জিডিপির ০.৩–০.৪ শতাংশ। ২০৩০ সালের মধ্যে ক্ষতি জিডিপির ৪.৯ শতাংশে পৌঁছাতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা পাঁচটি মূল সুপারিশ দিয়েছেন—
১. জাতীয় প্রস্তুতি ও সমন্বিত তাপপ্রবাহ মোকাবিলা
২. স্বাস্থ্যখাতের জরুরি প্রস্তুতি
৩. গরম-সহনশীল অবকাঠামো ও প্রযুক্তি
৪. নির্ভরযোগ্য আবহাওয়া তথ্য ও সময়মতো সতর্কতা
৫. আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও অর্থায়ন
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশসহ ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর জন্য তাপপ্রবাহ এখন বৈশ্বিক স্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক সংকটে পরিণত হয়েছে।

 
											 
											 
											 
											 
											 
											





























