শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, চৈত্র ১৫ ১৪৩০

Aloava News24 | আলোআভা নিউজ ২৪

ডিএনসিসির সব বস্তি-মার্কেটে ফায়ার হাইড্রেন্ট বসানো হবে: আতিক

আলো আভা ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৯:৪৪, ১৮ মে ২০২৩

আপডেট: ১৯:৪৬, ১৮ মে ২০২৩

ডিএনসিসির সব বস্তি-মার্কেটে ফায়ার হাইড্রেন্ট বসানো হবে: আতিক

ছবি: ইন্টারনেট

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকার প্রতিটি বস্তি এবং মার্কেটে আগুন নেভাতে ফায়ার হাইড্রেন্ট বসানো হবে বলে জানিয়েছেন ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (১৮ মে) দুপুরে রাজধানীর মহাখালী সাততলা বস্তিতে সমন্বিত কমিউনিটি অগ্নিনির্বাপক ও পানি সরবরাহ ব্যবস্থার আওতায় ফায়ার হাইড্রেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা জানান।

মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, ২০২১ সালে যখন সাততলা বস্তিতে আগুন লাগে তখন আমি বলেছিলাম এখানে ফায়ার হাইড্রেন্ট বসাতে হবে। যেকোনো ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় ফায়ার হাইড্রেন্ট বসাতে হবে। আগে আমাদের কোনো বস্তিতে ফায়ার হাইড্রেন্ট বসাতে পারিনি। সাততলা বস্তি দিয়ে শুরু করলাম। পর্যায়ক্রমে অন্য বস্তিতেও বসানো হবে।

ফায়ার হাইড্রেন্টে ৬০ হাজার লিটার পানি থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, এই পানি অন্তত ৪০ মিনিটের জন্য ফায়ার সেফটি করতে পারবে। ৪০ মিনিট যদি আমরা টিকে থাকতে পারি, আর রাস্তা যদি খালি থাকে তাহলে কোনো ক্ষতি হবে না। সাততলা বস্তি ফায়ার সেফটির জন্য একটি মডেল। পর্যায়ক্রমে অন্য বস্তিগুলোতেও ফায়ার হাইড্রেন্ট বসানো হবে।

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, জনবসতি জায়গায় ফায়ার হাইড্রেন্ট লাগবে, ফায়ারড্রিল লাগবে। আগুন লাগলে কারা ফায়ার হাইড্রেন্ট ব্যবহার করবে সেই ভলেন্টিয়ার লাগবে। আমরা সাততলা বস্তিতে ১৭ জনকে প্রশিক্ষণ দিয়েছি। এই সতেরো জন স্বেচ্ছাসেবক এটি ব্যবহার করবে। তারা অন্যদের শিখিয়ে দেবে।

ফায়ার হাইড্রেন্টে যা যা থাকবে তা উল্লেখ করে মেয়র বলেন, এখানে একটি চৌবাচ্চা, হোস পাইপ ও ১৭ জন ফায়ারড্রিল কর্মী থাকবে। এখানে আগুন লাগলে সঙ্গে সঙ্গে ঘণ্টা বেজে উঠবে। ফায়ার অ্যালার্ম বাজবে। এই বস্তির মধ্যে ফায়ার এক্সিট দেখানো হয়েছে। আগুন লাগলে কি করবে ও প্রতিটি ঘরে ঘরে যদি ট্রেনিং দিয়ে দেয়া হয় ইমারজেন্সি সময় কে কোন দিক থেকে বের হবে তা দেখিয়ে দেয়া হয়েছে। এটি একটি মডেল। এটা যদি বাস্তবায়ন করতে পারি পর্যায়ক্রমে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রতিটি বস্তিতে ফায়ার হাইড্রেন্ট বসানো হবে। এখানে ৬০ হাজার লিটার পানি ব্যবস্থা করা হয়েছে। ৪০ হাজার লিটার পানি থাকবে রিজার্ভ ও ২০ লিটার পানি থাকবে গৃহস্থালির কাজের জন্য।

তিনি বলেন, ডিএনসিসির আওতাধীন মার্কেটগুলোতেও ফায়ার হাইড্রেন্টসহ সব নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। মহাখালী কাঁচাবাজারকে মডেল হিসেবে নির্মাণ করা হবে। এর আলোকে অন্য সব মার্কেটে ফায়ার হাইড্রেন্ট বসানো হবে।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়