
ছবিঃ এ আই
যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট সম্প্রতি একটি গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়েছেন। এ রায় জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের বিষয়টি নিয়ে সরাসরি কিছু বলেননি। তবু বিষয়টি নিয়ে দেশজুড়ে বড় ধরনের বিভ্রান্তি ও আইনি জটিলতা তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস।
আদালত এক ভোটের মধ্যমে শুক্রবার (২৭ জুন) রায় দিয়ে জানিয়েছেন, দেশের নিম্ন আদালতগুলো আর পুরো দেশের জন্য কোনো নিয়ম বা নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারবে না। কোনো আদালতে শুধু যেই মামলার রায় দেওয়া হচ্ছে, তার পক্ষেই সেই নিয়ম প্রযোজ্য হবে।
সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি নীতির কার্যকর করেছেন। ওই নীতি অনুসারে, কিছু ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নিলেও কোনো কোনো শিশুরা আর যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব পাবে না।
সুপ্রিম কোর্টের রায়ের ফলে এখন থেকে এই নীতির প্রয়োগ রাজ্যভেদে ভিন্ন হতে পারে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, বর্তমানে ২২টি রাজ্য ও ওয়াশিংটন ডিসিতে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব এখনো সুরক্ষিত, কিন্তু বাকি ২৮টি রাজ্যে এ নীতির ফলে শিশুর নাগরিকত্ব প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে।
লিবারাল বিচারপতিরা এ রায়ের বিরুদ্ধে তীব্র আপত্তি জানিয়েছেন। বিচারপতি কেটানজি ব্রাউন জ্যাকসন বলেন, ‘এই রায় ভবিষ্যতে আদালতের ক্ষমতাকে দুর্বল করতে পারে এবং সংবিধান অনুযায়ী জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের অধিকারকে প্রশ্নের মুখে ফেলতে পারে।’
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ রায় ভবিষ্যতে বড় একটি সাংবিধানিক সমস্যার কারণ হতে পারে। এখন থেকে এক রাজ্যে জন্ম নেওয়া শিশু নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি পাবে, আর অন্য রাজ্যে একই অবস্থায় জন্মানো শিশু তা পাবে না- এ ধরনের বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।
রায়টি নাগরিকত্ব বাতিলের রাস্তা পুরোপুরি খুলে না দিলেও, আইনি লড়াই এখন অনেক কঠিন হয়ে গেল। এক রাজ্যে যদি কেউ এ নিয়ম চ্যালেঞ্জ করতে চায়, তাহলে আলাদাভাবে মামলা করতে হবে। তাই দেশের নাগরিকত্ব সংক্রান্ত ভবিষ্যৎ অনেকটাই রাজ্যভিত্তিক আদালতের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে।