ছবি সংগৃহীত
বাংলাদেশ আইসিটির মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণার পাঁচ দিন পর ভারতকে নোট ভারবাল পাঠিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ চাইেছে। সরকার বলছে, গত বছরের ছাত্র আন্দোলন দমনে নির্দেশনা দিয়ে প্রায় ১,৪০০ মানুষের মৃত্যুর দায় তাদের ওপর বর্তায়। ঢাকা দাবি করছে, দুই দেশের প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুযায়ী ভারত বাধ্য।
কিন্তু দিল্লির প্রতিক্রিয়া এখনো নিরপেক্ষ। রায় ঘোষণার পরও ভারত শুধু জানায়, তারা বিষয়টি লক্ষ্য করেছে। প্রত্যর্পণ নিয়ে একটিও স্পষ্ট মন্তব্য আসেনি। বিশ্লেষকদের মতে, এর প্রধান কারণ বাংলাদেশের বর্তমান সরকারকে দিল্লি একটি অস্থায়ী ব্যবস্থাপনা হিসেবে দেখছে। নির্বাচিত সরকার না আসা পর্যন্ত তারা বড় সিদ্ধান্ত নেবে না।
ভারতের ভেতরেও শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর বিরোধিতা শক্ত। আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনা পরিবারের সঙ্গে ভারতের পুরোনো সম্পর্ক, মুক্তিযুদ্ধের সময় আশ্রয় দেওয়া এবং দীর্ঘ সময় ভারতীয় নিরাপত্তা স্বার্থে তার সহযোগিতা—এসব কারণে দিল্লি তাকে ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে দেখে। একজন বন্ধুকে মৃত্যুদণ্ডের মুখে পাঠানো রাজনৈতিকভাবে খুব স্পর্শকাতর।
আইনগতভাবেও ভারতের হাতে বিকল্প আছে। ২০১৩ সালের চুক্তি অনুযায়ী দিল্লি চাইলে “রাজনৈতিক চরিত্রের অপরাধ” ধারা দেখিয়ে প্রত্যর্পণ এড়াতে পারে। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ সরাসরি প্রমাণ করা কঠিন হবে। ভারত বিচার প্রক্রিয়ার ন্যায্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলতে পারে। আর যদি ভারত রাজিও হয়, প্রক্রিয়াটি যাবে আদালতে, যেখানে পূর্ণাঙ্গ শুনানি চলবে এবং শেখ হাসিনা আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ পাবেন।
দ্য ডিপ্লোম্যাটের মূল্যায়ন, ভারত এখন খুব সতর্ক। ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির নির্বাচন সামনে রেখে তারা কোনো উত্তেজনাপূর্ণ সিদ্ধান্তে যেতে চাইছে না। ঢাকা-দিল্লি সম্পর্কও তাই আপাতত নীরব ও সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।































