
ছবি: ইন্টারনেট
নির্বাচনী সমাবেশে বক্তব্য দিতে গিয়ে হামলার শিকার হওয়া আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ব্যক্তিগত ভবন ‘ট্রাম্প টাওয়ারে’ নিরাপত্তা বাড়িয়েছে নিউইয়র্ক পুলিশ। নিরাপত্তা বেড়েছে শহরের বিভিন্ন স্থানেও।
স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের বাটলারে হামলার শিকার হওয়ার সময় গুলিতে কান ফুটো হয়ে যায় ট্রাম্পের। কার্যত এই হামলায় অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেছেন তিনি। এর পরপরই ট্রাম্পের নিরাপত্তা বাড়ানোর পাশাপাশি ম্যানহাটনে তাঁর ব্যক্তিগত ভবন ট্রাম্প টাওয়ারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিসি নিউজ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
নিউইয়র্ক সিটির মেয়র এরিক অ্যাডামস এক্স–এ এক পোস্টে লিখেছেন, ‘পেনসিলভানিয়ার সমাবেশে যে ঘটনা ঘটেছে তা ভয়াবহ। সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, তাঁর পরিবার এবং ওই সমাবেশে যারা ছিলেন তাদের সবার জন্য আমার প্রার্থনা রইল। এ দেশে রাজনৈতিক সহিংসতার কোনো স্থান নেই।’
মেয়রের কার্যালয়ের একজন মুখপাত্র বলেছেন, ‘বাড়তি সতর্কতার বাইরে শহরজুড়ে বিভিন্ন স্থানে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এর মধ্যে ট্রাম্প টাওয়ার এবং ৪০ ওয়াল স্ট্রিটে ট্রাম্প বিল্ডিং অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ফলি স্কয়ার ও সিটি হলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন থাকবে।’
এদিকে হামলার পর দেওয়া এক তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ‘আমেরিকায় এ ধরনের সহিংসতার কোনো স্থান নেই। পেনসিলভেনিয়ায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমাবেশে গুলি চালানোর বিষয়ে আমাকে ব্রিফ করা হয়েছে। আমি কৃতজ্ঞ যে, তিনি নিরাপদে আছেন এবং ভালো আছেন।’ মোবাইল ফোন নম্বরে ফোন করে ট্রাম্পের খোঁজও নেন বাইডেন। বিষয়টি সিবিএস নিউজকে হোয়াইট হাউসের সূত্র নিশ্চিত করেছে।
আর হামলার পর দেওয়া প্রথম বক্তব্যে আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থা সিক্রেট সার্ভিস ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, দ্রুত প্রতিক্রিয়া দেখানোর জন্য তাদের ধন্যবাদ।