ছবি সংগৃহীত
১৭ বছর পর দেশে ফিরে ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করা এবং জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) পাওয়ার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
আজ শনিবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় শহীদ শরিফ ওসমান হাদির কবর জিয়ারত শেষে তিনি আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট ভবনে যান। সেখানে ভোটার নিবন্ধনের জন্য প্রয়োজনীয় ছবি তোলা, দশ আঙুলের ছাপ, চোখের আইরিশ স্ক্যান এবং স্বাক্ষর প্রদান করেন তিনি।
দুপুরের দিকে আগারগাঁওয়ে পৌঁছে ভবনের নিচতলার একটি কক্ষে এ কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়। ওই কক্ষে প্রবাসী ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের এনআইডি–সংক্রান্ত সেবা দেওয়া হয়ে থাকে। এ সময় নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে গুলশানের বাসা থেকে বের হন তারেক রহমান। আগের দুই দিনের মতো লাল–সবুজ সাজানো বাস নয়, আজ তিনি সাদা রঙের একটি ফুলে সাজানো এসইউভি গাড়িতে চলাচল করেন।
নির্বাচন কমিশনের এনআইডি উইংয়ের মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবীর সকালে সাংবাদিকদের জানান, ভোটার হতে হলে ছবি, আঙুলের ছাপ ও আইরিশ স্ক্যান নিয়ে সেগুলো ইসির ডেটাবেজে সংরক্ষণ করা হয়। পরে বিদ্যমান তথ্যের সঙ্গে মিলিয়ে যাচাই শেষে একটি নম্বর জেনারেট করা হয়। পুরো প্রক্রিয়ায় সময়ের তারতম্য হতে পারে।
উল্লেখ্য, এক–এগারো পরবর্তী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৮ সালে ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়ন শুরু হয়। তবে সে সময় বিদেশে অবস্থান করায় তারেক রহমান ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারেননি। এরপর দীর্ঘদিন দেশে না ফেরায় তিনি ভোটার হননি।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আগামী ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের পথে এগোচ্ছে। ইতিমধ্যে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে, ভোটগ্রহণ হবে ১২ ফেব্রুয়ারি।
বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, আসন্ন নির্বাচনে তারেক রহমান তাঁর পৈতৃক এলাকা বগুড়ার সদর (বগুড়া–৬) আসন থেকে ধানের শীষ প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। তাঁর পক্ষে স্থানীয় নেতারা ইতিমধ্যে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।































