ছবি সংগৃহীত
সায়েন্স অ্যাডভ্যান্সেস নামে এক বিজ্ঞান সাময়িকীর নতুন এক গবেষণায় বলা হচ্ছে, আগামী চার দশকের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় একটি প্রলয়ংকারী বন্যার আশঙ্কা দ্বিগুণ হয়েছে। কারণ হিসেবে জলবায়ু পরিবর্তনের কথা ওঠে এসেছে।
গবেষকদের বরাত দিয়ে সিএনএন জানায়, এ মহাপ্লাবন এখনকার মানুষের অভিজ্ঞতা থেকে একদম ভিন্ন হবে।
গবেষণার সঙ্গে যুক্ত ইউসিএলএ’র জলবায়ু বিজ্ঞানী ড্যানিয়েল সোয়াইন বলেন, একটি বিস্তৃত অঞ্চল জুড়ে মারাত্মক এই বন্যা সংঘটিত হবে। যা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার সমাজে বিপর্যয়কর প্রভাব ফেলবে।
এবারের গ্রীষ্মে সেন্ট লুইস ও কেনটাকিতে সংঘটিত আকস্মিক বন্যার মতো আঘাত হানতে পারে এ বন্যা। সেন্ট লুইসের বন্যা ছিল এক হাজার বছরের মধ্যে অঞ্চলটিতে আঘাত হানা সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা। সম্ভাব্য ওই মহাপ্লাবনও পুরো ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যে আঘাত হানবে।
এ প্লাবনের কারণে ক্যালিফোর্নিয়ার নিম্নভূতি ‘বিশাল অভ্যন্তরীণ সাগরে’ পরিণত হতে পারে। এর আগে এ রাজ্যে এমন ঘটনা একবারই ঘটেছে।
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ভারী বৃষ্টি ও আকস্মিক বন্যা এখন খুবই নিয়মিত ঘটনা। এ গরমে পূর্ব কেনটাকি, সেন্ট লুইস ও ক্যালিফোর্নিয়ার ডেথ ভ্যালি ন্যাশনাল পার্ক একাধিকবার প্লাবিত হয়েছে। নদীরবিধৌত ক্যালিফোর্নিয়ায় বন্যা স্বাভাবিক প্রবণতা হলেও জলবায়ু পরিবর্তন এখন নতুন করে লাখ লাখ মানুষের জীবনযাত্রাকে প্রভাবিত করছে।
আসন্ন মহাপ্লাবনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে স্যাক্রোমেন্টো, ফ্রেন্সনো ও বেকার্সফিল্ডসহ মধ্য ক্যালিফোর্নিয়া উপত্যকা। আর এ উপত্যকা থেকে দেশটির এক-চতুর্থাংশ খাবার সরবরাহ হয়।
এই মহাপ্লাবন হতে পারে সবচেয়ে ব্যয়বহুল বিপর্যয়, আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি এক ট্রিলিয়ন ডলার ছাড়াতে পারে। এ ক্ষতি মার্কিন ইতিহাসের সবচেয়ে ব্যয়বহুল দুর্যোগ হ্যারিকেন ক্যাটরিনার পাঁচ গুণ বেশি। ধ্বংস হয়ে যেতে পারে লস অ্যাঞ্জেলস ও অরেঞ্জ কাউন্টি।































