
ছবি: ইন্টারনেট
দীর্ঘদিন ধরেই বেশ সুখে সংসার করছিলেন টিভি নাটকের জনপ্রিয় অভিনেতা ইরফান সাজ্জাদ ও সংবাদ পাঠিকা শারমিন সাজ্জাদ দম্পতি। সেই সুখের সংসারে প্রথম সন্তান আসার খবরে অন্যরকম খুশির মাত্রা যোগ করে তাদের পরিবারে। সন্তানের অপেক্ষায় ছিলেন তারা। তার স্ত্রী শারমিন ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। কিন্তু, ভাগ্যের নির্মম পরিহাসের কাছে হার মানতে হলো ইরফান সাজ্জাদকে।
গত ৫ মে গর্ভপাতে অনাগত দুই সন্তানকে হারিয়েছেন এই অভিনেতা। অনাগত সন্তানের মুখ দেখা হলো না তার। হঠাৎই যেনো সুখের সংসারে নেমে এলো অন্ধকারের এক কালোছায়া। মূহুর্তেই জীবন উল্টাপাল্টা হয়ে গেল ইরফানের। পৃথিবীর আলো দেখার সুযোগ পেলেন না তাদের জমজ সন্তান। দুই পরিবারের নতুন অতিথিকে বরণ করা নিয়ে সব পরিকল্পনা-স্বপ্ন ভেঙে গেল।
আজ (২৩ মে) ইরফান সাজ্জাদ তার ব্যক্তিগত ফেসবুকে একটি ছবি পোস্ট করেন। আর এ ছবির ক্যাপশনে তিনি লিখেন, ‘তাদের নাম রেখেছিলাম প্রিয় আর মায়া। তারা আল্লাহর বেশি প্রিয় হয়ে গেল…!”
এরপর থেকেই ইরফান সাজ্জাদের ফেসবুক পোস্টের কমেন্ট বক্সে অনেকে সহমর্মিতা ও তার পরিবারের জন্য দোয়া করছেন।
ফেসবুক পোস্টের সূত্র ধরে যোগাযোগ করা হয় ইরফান সাজ্জাদের সঙ্গে। তিনি এক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমার স্ত্রী শারমিন সাজ্জাদ দেড় বছর ধরে অসুস্থ। চেন্নাইয়ের অ্যাপোলো হাসপাতালে তার নিয়মিত চিকিৎসা চলছিল। এরমধ্যে জানতে পারি আমার স্ত্রী অন্তসত্ত্বা। যেকারণে আমি দেড় বছর সেভাবে কাজ করিনি। পরিবারকে সময় দেওয়ার চেষ্টা করেছি সবসময়।’
তিনি আরও বলেন, ‘গত (৫ মে) দুপুরে চেন্নাই থেকে ঢাকার ফ্লাইটের টিকিট কনফার্ম করা ছিল। কিন্তু হঠাৎ সেদিন সকালে আমার স্ত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর দ্রুত তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এরপর বড় সার্জারী হয় তার। কিন্তু চিকিৎসক আমাদের ৬ মাসের অনাগত সন্তানকে আর পৃথিবীর আলো দেখাতে পারেননি। শারীরিক অবস্থা এতটাই খারাপ ছিল আমার স্ত্রী যে সেই মূহুর্তে চিকিৎসকের হাতে কোন উপায় ছিল না আমাদের সন্তানকে পৃথিবীর আলো দেখাতে পারবেন। বর্তমানে আমার স্ত্রী এখন অসুস্থ রয়েছে। তার চিকিৎসা চলমান, সন্তান কি সেটা উপলব্ধি করছি, এই ফিলিং আসলেই ভাষায় প্রকাশ করার মতো মানসিক অবস্থা নেই। দোয়া করবেন যেনো সুস্থ স্ত্রীকে নিয়ে দেশে ফিরতে পারি শিগগিরই।”