সাত দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারন শিক্ষার্থীরা
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) নতুন ক্যাম্পাসের দেওয়া অভিযুক্ত ব্যক্তিকে দ্রুত গ্রেপ্তার, নতুন ক্যাম্পাসে পুলিশ ফাঁড়ির বাস্তবায়নসহ সাত দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারন শিক্ষার্থীরা।
আজ(২২ জুন) বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে শিক্ষার্থীরা এ মানববন্ধন করে থাকে। এ সময় তারা নতুন ক্যাম্পাসের উন্নয়ন কাজ দ্রুত শেষ করার দাবি করে থাকে।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থী ফাইয়াজুল আজাদ রুদ্র দাবি করেন, আমাদের নতুন ক্যাম্পাস নির্মাণের কাজে নূর আলম বাবুলসহ যারা বাধা দিচ্ছে তাদের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা প্রতিহত করবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আমাদের দাবি, অতি দ্রুত শিক্ষার্থীদের জন্য হলসহ নতুন ক্যাম্পাস নির্মাণ কাজ শেষ করতে হবে।
সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা ৪৮ ঘণ্টা সময় দিচ্ছি। এর মধ্যে আমাদের এই ৭ দফা দাবি মেনে নিতে হবে। যদি এর মধ্যে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তাহলে আমরা পুরান ঢাকাকে অচল করে দেব। আমরা সম্পূর্ণ নির্বিঘ্নে অতি দ্রুত নতুন ক্যাম্পাসের বাস্তবায়ন চাই।
শিক্ষার্থীদের সাত দফা দাবিগুলো হলো- বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়াল ভাঙার অপরাধে বাবুলসহ তার সহযোগীদের অনতিবিলম্বে আইনের আওতায় আনতে হবে; ক্যাম্পাসের সমতল ভূমি থেকে যারা মাটি চুরি করে ১৫০ টি কূপ করেছে তাদের তদন্তের মাধ্যমে বিচার করতে হবে; নতুন ক্যাম্পাসের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করে আমাদের শিক্ষার্থীদের কষ্ট লাগব করার জন্য সচেষ্ট হতে হবে; নতুন ক্যাম্পাসে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঘোষিত পুলিশ ফাঁড়ির দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে; নতুন ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য নিজস্ব নিরাপত্তা প্রহরীর ব্যবস্থা করতে হবে; চলমান সীমানা প্রাচীরের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে; কোন অদৃশ্য শক্তি যেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজের ব্যাঘাত না করতে পারে সেই নিশ্চয়তা প্রদান করতে হবে।
মানববন্ধন শেষে নূর আলম বাবুলের কুশপুত্তলিকা পোড়ানো হয়। পরে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা উপাচার্য বরাবর স্মারক লিপি প্রদান করেন।
প্রসঙ্গত, সোমবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাসের মুজাহিদনগর মাদ্রাসার পাশে সীমানা প্রাচীরের অনেকগুলো দেওয়াল ও পিলার ভেঙে দেওয়া হয়। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি ও ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে ভাঙচুরকারীদের বাকবিতন্ডার ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ গেলে ভাঙচুর চালানো লোকজন ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।