শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

Aloava News24 | আলোআভা নিউজ ২৪

বিশেষ প্রতিবেদন

৮১ বছরের বিবিসি বাংলার রেডিও সম্প্রচার বন্ধ হচ্ছে আজ

আলো আভা ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৮:০৫, ৩১ ডিসেম্বর ২০২২

আপডেট: ১৮:৩৩, ৩১ ডিসেম্বর ২০২২

৮১ বছরের বিবিসি বাংলার রেডিও সম্প্রচার বন্ধ হচ্ছে আজ

ফাইল ফটো

দীর্ঘ ৮১ বছর পর বিবিসি বাংলার রেডিও সম্প্রচার বন্ধ হতে যাচ্ছে আজ শনিবার রাতে। আজ প্রচারিত হবে বিবিসি বাংলা রেডিওর শেষ দুটি অধিবেশন।

সংবাদ ও সাময়িক প্রসঙ্গের অনুষ্ঠান ‘প্রবাহ’ আর ‘পরিক্রমা’ শেষবারের মতো প্রচারিত হবে আজ শনিবার বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা এবং রাত সাড়ে ১০টায়। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করবেন লন্ডনে মানসী বড়ুয়া, আর ঢাকায় আকবর হোসেন।

বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসে ব্যাপক পরিবর্তনের পটভূমিতে বিবিসি বাংলা রেডিও বন্ধের এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেপ্টেম্বর মাসে ওয়ার্ল্ড সার্ভিস কর্তৃপক্ষ বাংলায় রেডিও সম্প্রচার বন্ধ করার পরিকল্পনা ঘোষণা করে।

১৯৪১ সালের ১১ অক্টোবর একটি সাপ্তাহিক নিউজলেটার দিয়ে বিবিসি বাংলা রেডিওর যাত্রা শুরু হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ক্রান্তিকালে মিত্র পক্ষের বক্তব্য ভারতীয় উপমহাদেশের মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়েই শুরু হয়েছিল বিবিসি বাংলা রেডিওর যাত্রা।

বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে বিবিসি নামটি সবচেয়ে বেশি পরিচিতি পায় ১৯৭১ সালে, স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়। বিবিসির খবরের ওপর শ্রোতাদের আস্থা আর বিবিসি বাংলা রেডিওর জনপ্রিয়তা ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়। মানুষ তখন যুদ্ধের খবরের জন্য পুরোপুরি নির্ভর করত বিবিসি বাংলার ওপর।

বিগত আট দশকে বিবিসি বাংলার রেডিও অনুষ্ঠানমালা এবং ব্যবস্থাপনা বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে গেছে। রেডিওর চূড়ান্ত সম্প্রসারণ ঘটে ২০০৭ সালের জানুয়ারি মাসে যখন চতুর্থ একটি দৈনিক অধিবেশন শুরু করা হয়।

তার চার বছরের মাথায় সকালের দুটি রেডিও অধিবেশন লন্ডন থেকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয় এবং বাংলাদেশে কর্মরত বিবিসি বাংলার সাংবাদিক সংখ্যায় উল্লেখযোগ্য সম্প্রসারণ ঘটে।

তবে রেডিওর শ্রোতা কমে যাওয়ায় বিবিসি বাংলাদেশকে নিয়ে নতুন করে ভাবতে শুরু করে। চ্যানেল আই-এর সহযোগিতায় ‘বিবিসি প্রবাহ’ নামক সাপ্তাহিক অনুষ্ঠান নিয়ে ২০১৫ সালে বিবিসি বাংলা বাংলাদেশের টেলিভিশন জগতে প্রবেশ করে।

কয়েক দশক ধরে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে রেডিও শ্রোতা সংখ্যা ক্রমশ কমে আসছে, বিশেষ করে সংবাদ এবং সাময়িক প্রসঙ্গের ক্ষেত্রে। বিবিসির গবেষণায় দেখা গেছে, বিভিন্ন দেশে মানুষ সংবাদের চাহিদা মেটানোর জন্য টেলিভিশন এবং ডিজিটাল মাধ্যমকে বেছে নিচ্ছেন। সূত্র : বিবিসি বাংলা

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়