বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বৈশাখ ১১ ১৪৩১

Aloava News24 | আলোআভা নিউজ ২৪

জবিতে নেই ওয়ার্কশপ, যত্রতত্র গাড়ি মেরামতে অতিষ্ঠ সবাই

নীলপদ্ম রায় প্রান্ত

প্রকাশিত: ১৬:৪৯, ১ ডিসেম্বর ২০২২

আপডেট: ১৬:৫১, ১ ডিসেম্বর ২০২২

জবিতে নেই ওয়ার্কশপ, যত্রতত্র গাড়ি মেরামতে অতিষ্ঠ সবাই

ছবি সংগৃহীত

প্রতিষ্ঠার ১৭ বছরেও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহনব্যবস্থা বিশৃঙ্খল অবস্থায় পড়ে আছে। ওয়ার্কশপ না থাকায় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গা দখল করে  চলে গাড়ি মেরামত ও ধোয়া-মোছার কাজ ।

যত্রতত্র পার্কিং আর সংকীর্ণ রাস্তায় গাড়ি সারানোর কাজ চলায় ভোগান্তিতে পড়ছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

কলা ভবনের সামনে বেশ কয়েকটি পুরোনো নষ্ট বাস দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে কয়েক মাস ধরে। প্রায় প্রতিদিনই ভবনের সামনের রাস্তায় চলে বাসসহ নানা গাড়ির মেরামতের কাজ। চলে ধোঁয়া-মোছার কাজও। এতে কাঁদা জমে হাঁটাচলায় তৈরি হয় নানা সমস্যা।এছাড়া গাড়ি মেরামতের শব্দও শিক্ষার্থীদের বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

শান্ত চত্বর ও বিজ্ঞান অনুষদের রাস্তায়ও চলে একই কাজ। রাস্তার মাঝখানে দাঁড় করিয়ে চলে মেরামত ও গাড়ি ধোয়ার কাজ। নিয়মিতই কাঁদা ও ময়লা লেগে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জামাকাপড় নষ্ট হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৫টির অধিক বাস রাখা হয়েছে কলা ভবন, বিজ্ঞান অনুষদ ও শান্ত চত্বরের রাস্তায়।

গাড়িগুলোর সুরক্ষা ও মেরামতের জন্য টিনশেডের একটি অস্থায়ী ওয়ার্কশপ নির্মাণের জন্য জায়গা নির্ধারণ করতে গত ২৮ নভেম্বর একটি কমিটি করে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন আবুল হোসেনের নেতৃত্বে এই কমিটি চার মাস আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ফটকের সামনের জায়গা নির্ধারণ করে দেয়। পরে সেখানে থাকা কর্মচারীদের আবাসস্থল ভেঙে তা নিলামে বিক্রি করে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ভবন ভাঙার কাজও প্রায় চার মাস আগে শেষ হয়ে যায়।

কিন্তু সেই ওয়ার্কশপ আর নির্মাণ হয়নি। নির্ধারিত জায়গা পড়ে থাকলেও খসড়া নকশায়ই আটকে আছে কাজ।

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী হেলাল উদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, 'আমরা অনেক আগেই একটা খসড়া নকশা করে রেখেছি। কোথায়, কীভাবে ওয়ার্কশপ করা হবে, কীভাবে নির্মাণ করা হবে। পরিবহন দপ্তরকে অনেকবার বলেছি গাড়ির জন্য কতটুকু জায়গা লাগবে তার চাহিদা দিতে। কিন্তু তারা এর কোনো জবাব দেয়নি।'

জায়গাটিতে পরিবহন মেরামতের জন্য ওয়ার্কশপ করার পর জায়গা থাকলে ছোট ক্যাফেটেরিয়ার নকশাও করে রেখেছে প্রকৌশল দপ্তর। এখানে পূজা উদযাপন এবং উপাসনার জন্য একটি কক্ষ করে দেয়ারও দাবি জানিয়েছেন সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন প্রশাসক সিদ্ধার্থ ভৌমিক বিষয়টি নিয়ে কিছু জানেনই না। এক প্রশ্নে তিনি বলেন, 'আমি দপ্তরে নতুন দায়িত্ব নিয়েছি। এই সম্পর্কে কিছু জানা নেই। আমি এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আমাদের দপ্তরকে নির্দেশ দিচ্ছি।’

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়