ছবি সংগৃহীত
সাফজয়ী বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা ফুটবল দলের গোলরক্ষক রূপনা চাকমাকে ঘর করে দেয়ার কথা জানিয়েছেন রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।
বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিষয়টি তিনি নিশ্চিত করেন।
রূপনা চাকমা নেপালের দশরথ স্টেডিয়ামে পাহাড়ের মদো দৃঢ়তায় বাংলার গোলপোস্ট সামলেছেন তিনি। হয়েছেনও সেরা গোলকিপার। তবে ঠিক বিপরীত তার বেড়ে ওঠা আর মাথার ঠাঁইটি। নায়িরাচর উপজেলার দুর্গম ভূঁইয়োআদাম গ্রামে তার ঘরটির জরাজীর্ণ অবস্থাই বলে দিচ্ছে, কতটা সংগ্রামের পথ মাড়িয়ে এতদূর উঠে এসেছেন এই দামাল কন্যা। সেই ঘরজুড়ে এখন রূপনার সাফল্যের আলো যেন ঠিকরে পড়ছে। অভাবের কষ্ট লুকিয়ে তাই তার মায়ের মুখেও গর্বের হাসি।
রূপনা চাকমার বাড়ি নায়িরাচর উপজেলার দুর্গম ভূঁইয়োআদাম গ্রামে। সাফজয়ী বাংলাদেশ দলের আরেক গর্বিত সদস্য ঋতুপর্ণা চাকমার বাড়ি কাউখালীর ঘাগড়া ইউনিয়নের মগাছড়ি গ্রামে।
রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমার বলেন, সকালে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় হতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে দ্রুততম সময়ের মধ্যে রূপনা চাকমা ঘরটি নির্মাণ করার জন্য। আমি ইতোমধ্যে নানিয়ারচর উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে নির্দেশনা দিয়েছি। বুধবার বিকেলে এলজিইডি প্রকৌশলী নিয়ে ঘর নির্মাণের বিষয়ে সরেজমিন দেখে আসবেন। আশা করছি দ্রুততম সময়ে মধ্যে আমরা এটি করে দিতে পারবো।
মঙ্গলবার বিকেলে সাফজয়ী বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা ফুটবল দলের সদস্য রূপনা চাকমা ও ঋতুপর্ণা চাকমাদের সাফল্যে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে তাদের বাড়ি মিষ্টি ও ফলমূল নিয়ে উপস্থিত হন। একইসঙ্গে তাদের বাড়িতে যাওয়া পথ তৈরি ও পাকা সেতু নির্মাণ করে দেয়ার কথাও জানানো হয়।