
ছবি সংগৃহীত
নৌযান শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২০ হাজার টাকা নির্ধারণসহ ১০ দফা দাবিতে আগামী ২৬ নভেম্বর রাত ১২টা থেকে সারাদেশে ধর্মঘট ডেকেছে নৌযান শ্রমিকরা।
শনিবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে বিভাগীয় নৌযান শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদের আয়োজনে বরিশাল নদী বন্দর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়, যা নগরীর বাঁধ রোড, চকবাজার, লাইন রোড, সদর রোড ও ফজলুল হক এভিনিউ হয়ে পুনরায় নদী বন্দরে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে মানববন্ধন ও সমাবেশে অংশগ্রহণ করেন তারা।
সমাবেশে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক একে আযাদ, শ্রমিক জোটের সমন্বয়কারী মোজাম্মেল সিকদার ও হারুনুর রশিদ সিকদারসহ অন্যান্যরা।
এ সময় বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম জানান, আগামী ২৬ নভেম্বরের মধ্যে ১০ দফা দাবি আদায় না হলে রাত ১২টা থেকে লাগাতার কর্মবিরতি পালন করবে সারা বাংলাদেশের নৌযান শ্রমিকরা।
১০ দফা দাবিগুলো হলো- নৌযান শ্রমিকদের নিয়োগপত্র ও পরিচয়পত্র সার্ভিস বুক প্রদান, শ্রমিকদের সর্বনিম্ন মজুরি ২০ হাজার টাকা নির্ধারণ, খাদ্য ভাতা ও সামুদ্র ভাতার, সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কন্ট্রিবিউটরি প্রভিডেন্ট ফান্ড ও নাবিক কল্যাণ তহবিল গঠন করা, দুর্ঘটনা ও কর্মস্থলে মৃত্যুজনিত ক্ষতিপূরণ ১০ লাখ টাকা নির্ধারণ করা, চট্টগ্রাম থেকে পাইপ লাইনের মাধ্যমে জ্বালানি তেল সরবরাহের দেশের স্বার্থ বিরোধী অপরিণামদর্শী প্রকল্প বাস্তবায়নে চলমান কার্যক্রম বন্ধ, বালুবাহী বাল্কহেড ও ড্রেজারের রাত্রিকালীন চলাচলের উপরে ঢালাও নিষেধাজ্ঞা শিথিল, নৌপথে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, ডাকাতি বন্ধ, ভারত গামী শ্রমিকদের লান্ডিং পাস প্রধানসহ ভারতীয় সীমানায় সব প্রকার হয়রানি বন্ধ, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্য পরিবহন নীতিমালা ১০০% কার্যকর করে সব লাইটারিং জাহাজকে সিরিয়াল মোতাবেক চলাচলে বাধ্য করা, চরপাড়া ঘাটে ইজারা বাতিল ও নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরের সব ধরনের অনিয়ম অব্যবস্থাপনা বন্ধের দাবি জানান তারা।