
ছবি সংগৃহীত
ঢাকাইয়া সিনেমার বর্ষীয়ান অভিনেতা সোহেল রানা তার দীর্ঘ ক্যারিয়ারে অভিনেতা, নির্মাতা ও প্রযোজক হিসেবে উপহার দিয়েছেন অসংখ্য ব্যবসাসফল সিনেমা।
নিজের ব্যক্তিজীবন ও অন্যান্য বিষয়ে কিংবদন্তি এই অভিনেতা তার বর্তমান দিনযাপন ও স্মৃতিচারণা করেন।
সেখানে সোহেল রানা জানান, ‘বর্তমানে প্রতিদিনই একটা না একটা অসুস্থতা লেগেই আছে। এরপরও আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করি যে- আমি কথা বলতে পারছি, আপনাদের সামনে আসতে পারছি। সবার সঙ্গে মেলামেশা করতে পারছি। এখন এভাবেই দিন কেটে যাচ্ছে।’
বর্ষীয়ান এই অভিনেতা বলেন, ‘এখন আমি ধর্মের বই পড়াশোনা করি। তবে আগের চেয়ে একটু বেশিই পড়াশোনা করি। নামাজ পড়ার ক্ষেত্রে আগে যেমন ঈদের নামাজগুলো পড়তাম কিংবা সময় সুযোগ পেলে হয়তো নামাজ পড়তাম। এখন মোটামুটি সব ওয়াক্তের নামাজ পড়ি। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে আগে রোজা রাখা হতো, কিন্তু এখন অসুস্থতার কারণে রোজা রাখতে পারছি না। প্রতিদিন আমাকে ১৪টি ওষুধ খেতে হয়। এটা আমার খুব কষ্ট লাগে। এছাড়া বইও পড়া হয়।’
হজ পালনের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি অসুস্থ হওয়ার পরে হজে গিয়েছিলাম। প্রায় ২৫ বছর আগে আল্লাহ তায়ালা আমাকে হজ করার ভাগ্য দিয়েছিলেন।’
গান শোনার অভ্যাস ছিল আগে থেকেই। সেটি নিয়ে নিজের খানিকটা আক্ষেপ ঝরে পড়ল বরেণ্য এই অভিনেতার কণ্ঠে। তার কথায়, ‘আমি আগে থেকেই প্রচণ্ড গান শুনতাম। কিন্তু বরাবরই দুঃখ ছিল যে আমি গান গাইতে পারি না। গান শুনতে ভীষণ পছন্দ করি।’
অতীত হাতড়ে তুলে আনলেন গান নিয়ে মজার এক স্মৃতি। অভিনেতার বর্ণনায়, ‘আমার এখনো মনে আছে, আমি যখন এম এ পরীক্ষা দিই তখন টেপ-রেকর্ডার ছিল। আমি পড়ছিলাম, তখন আমার শিক্ষক বললেন- পরশুদিন তোমার পরীক্ষা আর তুমি গান শুনছো। আমি তখন বললাম স্যার, এটা বন্ধ করে দিলে আমার আর পড়া হবে না। ওইটা বাজতে থাকুক, আমি গান শুনছি আর পড়াশোনা করছি। এখনো সেটাই করি, গান শুনি।’
উল্লেখ্য, সোহেল রানাকে আগামীতে দেখা যাবে ‘গোয়িং হোম’ ছবিতে। এটি পরিচালনা করেছেন তার ছেলে মাশরুর পারভেজ। ছবিটিতে অভিনয় করেছেন নির্মাতা মাশরুর পারভেজ, নুসরাত জাহান জেরি, ফাহিম ফারুকসহ আরও অনেকে।