
ছবি সংগৃহীত
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে যুক্তরাষ্ট্রগামী রপ্তানি পণ্যে ২০ শতাংশ পাল্টা শুল্ক কার্যকর হয়েছে। এই সময়ের আগে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে জাহাজীকরণ হওয়া পণ্য নতুন শুল্ক এড়াতে পেরেছে। এ সুযোগ কাজে লাগাতে গত কয়েকদিনে কারখানাগুলো আগাম পণ্য পাঠাতে হুমড়ি খেয়েছে। এতে প্রতিদিন ৮০০ অতিরিক্ত কনটেইনার রপ্তানি হয়েছে।
রপ্তানিকারকরা জানান, ১ আগস্টের আগেই বড় অংশের পণ্য জাহাজীকরণ সম্পন্ন হয়। কারণ, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ঘোষিত ৩৫ শতাংশ মোট শুল্ক কাঠামো ১ আগস্ট থেকে কার্যকর হয়েছে, যার মধ্যে পাল্টা শুল্ক ২০ শতাংশ।
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তির বিষয়ে এখনও দরকষাকষির সুযোগ রয়েছে।
৩১ জুলাই বাংলাদেশ-মার্কিন আলোচনার তৃতীয় পর্ব শেষে পাল্টা শুল্ক কমিয়ে ২০ শতাংশ নির্ধারণে সমঝোতা হয়। ফলে বাংলাদেশের পণ্যে মোট শুল্ক দাঁড়াচ্ছে গড়ে ৩৫ শতাংশের বেশি, যেখানে আগে থেকেই ছিল প্রায় ১৫ শতাংশ শুল্ক।
ট্যারিফ কমিশনের সাবেক সদস্য মোস্তফা আবিদ খান বলেন, আন্তর্জাতিক রীতিতে বন্দর ছাড়ের সময় থেকেই শুল্ক কার্যকর হয়। তিনি আরও বলেন, মার্কিন উৎপাদিত কমপক্ষে ২০% কাঁচামাল ব্যবহৃত হলে পাল্টা শুল্ক ছাড় পাওয়া যাবে, যা তুলানির্ভর বাংলাদেশের জন্য সুবিধাজনক।
বিকেএমইএ সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, অনেক রপ্তানিকারক ৭ আগস্টের মধ্যে পণ্য পৌঁছাতে কাজ করছেন। ফলে জুলাইয়ে রপ্তানিতে ২৫% প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
চট্টগ্রামের ১৯টি ডিপোতে এখন রপ্তানি পণ্যের ভিড়। ১৫,৪০০ কনটেইনার জমেছে, যার বেশিরভাগই যুক্তরাষ্ট্রগামী। জুলাইয়ে রপ্তানি হয় ৮১ হাজার কনটেইনার, যা আগের চেয়ে অনেক বেশি। আগস্টেও এ ধারা অব্যাহত রয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে বাংলাদেশ ৯৯% সমুদ্রপথ রপ্তানি করে। গত মাসে প্রায় ৩৯৬ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে, যার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে গেছে ৮২ কোটি ডলারের পণ্য—এর ৬০% চট্টগ্রাম থেকে।