শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

Aloava News24 | আলোআভা নিউজ ২৪

কানাডায় যাচ্ছে রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ’র পরিবার

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৫:১০, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২

কানাডায় যাচ্ছে রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ’র পরিবার

ছবি সংগৃহীত

কক্সবাজারের শরণার্থী ক্যাম্পে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার মুহিবুল্লাহর পরিবারের আরও ১৪ সদস্য কানাডার উদ্দেশে ক্যাম্প ত্যাগ করেছেন। এই নিয়ে দ্বিতীয় দফায় তার পরিবারের সদস্যরা কানাডা যাচ্ছেন। এর আগে তার পরিবারের আরও ১১ জন ওই দেশে গেছেন।

রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকালে উখিয়ার কুতুপালং ট্রানজিট পয়েন্ট থেকে তারা ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন।

বিষয়টি স্বীকার করে নাম না প্রকাশের শর্তে উচ্চ পর্যায়ের সরকারি এক কর্মকর্তা বলেন, ‘মুহিবুল্লাহর মাসহ তার দুই ভাইয়ের পরিবারের ১৪ সদস্য কানাডার উদ্দেশে ক্যাম্প ত্যাগ করছেন। তাদের এখানকার প্রক্রিয়া শেষে ঢাকার উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হয়। তারা সেখান থেকে কানাডায় রওনা দেয়া কথা রয়েছে। ক্যাম্প থেকে যাত্রাকালে শরণার্থী ত্রাণ প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়, জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনারে প্রতিনিধিসহ পুলিশের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এর আগেও একই প্রক্রিয়ায় মুহিবুল্লাহ নিহতের ছয় মাস পর তার পরিবারের ১১ সদস্যকে কানাডা নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।

এই বিষয়ে -এপিবিএনের সহকারী পুলিশ সুপার (অপস) মো. ফারুক আহমেদ বলেন, ‘জাতিসংঘের মাধ্যমে মুহিবুল্লাহর মা দুই ভাইয়ের স্ত্রী-সন্তানসহ ১৪ জনকে উখিয়া ট্রানজিট পয়েন্ট থেকে ঢাকার উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এরপর তাদের কোথায় নেবে-বিষয়টি আমার জানা নেই।

রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ পরিবারের সদস্য হলেন- নিহত মুহিবুল্লাহর মা উম্মে ফজল (৬০), ছোট ভাই হাবিব উল্লাহর স্ত্রী আসমা বিবি (৩৫), সন্তান কয়কবা (১৫), বয়সারা (১৩), হুনাইসা (), মো. আইমন (), ওরদা বিবি (), মো. আশরাফ () আরেক ভাই আহমদ উল্লাহর স্ত্রী শামছুন নাহার (৩৭), সন্তান হামদাল্লাহ (১১), হান্নানা বিবি (), আফসার উদ্দীন (), সোহানা বিবি () মেজবাহ উল্লাহ ()

মুহিবুল্লাহ নিহত হওয়ার পর বাংলাদেশ-মিয়ানমার ছাড়া অন্য কোনো দেশে (থার্ড কান্ট্রি) আশ্রয় চেয়ে আবেদন করেন তারা। আবেদনে তারা যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া কানাডার নাম উল্লেখ করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ১৭ অক্টোবর মুহিবুল্লাহর স্ত্রী, সন্তানসহ ১১ জন কানাডায় যাত্রা পাড়ি জমান। তাদের মধ্যে মুহিবের স্ত্রী নাসিমা খাতুন, ছেলেমেয়ে ছাড়াও এক মেয়ের জামাইও ছিল। তাদের শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) সহযোগিতায় কানাডার সরকারি কর্মসূচির আওতায়শরণার্থীহিসেবে নিয়ে যাওয়া হয়।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়