
ছবি সংগৃহীত
রাজধানীর মিরপুরের পশ্চিম মণিপুর এলাকায় আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের এক সাবেক কর্মীর বাসায় হানা দিয়ে চাঁদা দাবি এবং হুমকির অভিযোগে ছাত্রদল ও যুবদলের চার নেতা–কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ভুক্তভোগী সিরাজুল ইসলাম একসময় শ্রমিক লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। রবিবার (৭ জুলাই) রাত ১০টার দিকে ১০–১৫ জনের একটি দল তাঁর বাসায় ঢুকে ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে চাঁদা দাবি করে। তারা সিরাজুলকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘তুই আওয়ামী লীগ করিস, আওয়ামী ফ্যাসিস্টের লোক, তোকে পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দেব, বাঁচতে হলে ২০ লাখ টাকা দে।’
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্র জানায়, সিরাজুলের পরিবার প্রথমে তাদের হাতে ২০ হাজার টাকা তুলে দেন। পরে চাপে পড়ে প্রতিবেশীর কাছ থেকে ধার নিয়ে তিন লাখ টাকা এবং মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে আরও দেড় লাখ টাকা দেন। রাত তিনটার দিকে তারা মোট পাঁচ লাখ টাকা নিয়ে বাসা থেকে বের হওয়ার সময় পুলিশ ও র্যাব ঘটনাস্থলে পৌঁছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে হামলাকারীরা পালানোর চেষ্টা করলে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন—মিরপুর থানা ছাত্রদলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আতিকুর রহমান মিন্টু, যুগ্ম আহ্বায়ক তাবিত আহমেদ আনোয়ার (আনোয়ার হোসেন তাবিত), যুবদলকর্মী রতন মিয়া এবং ছাত্রদলকর্মী ইসমাইল হোসেন।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া শাখার পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ঘটনাস্থল থেকে চাঁদাবাজির ১৬ হাজার টাকা ও একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। অন্য আসামিরা টাকা নিয়ে পালিয়ে যান।
এ ঘটনায় সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী জাহানারা ইসলাম বাদী হয়ে মিরপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় গ্রেপ্তার চারজনসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৮-১০ জনকে আসামি করা হয়েছে। সোমবার আদালতের মাধ্যমে গ্রেপ্তারদের কারাগারে পাঠানো হয়।
মিরপুর মডেল থানার ওসি সাজ্জাদ রোমান জানান, রাতেই তার সরকারি নম্বরে ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। পরে র্যাবও অভিযানে অংশ নেয়। তিনি বলেন, ‘ঘটনাটি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে এবং পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’