 
											ছবি সংগৃহীত
গাজীপুরের টঙ্গীর টিঅ্যান্ডটি কলোনি জামে মসজিদের খতিব মুফতি মুহিব্বুল্লাহ মিয়াজী (৬০) নিজেই নিজের অপহরণের নাটক সাজিয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে গাজীপুর মহানগর পুলিশের (জিএমপি) সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান জিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) তাহেরুল হক চৌহান।
তিনি বলেন, “মুফতি মুহিব্বুল্লাহ নিজেই টঙ্গী থানায় এসে জানান যে তিনি অপহৃত হয়েছেন। প্রথমে অসুস্থতার কথা বলে সময় চান, পরে নিজে বাদী হয়ে অপহরণের মামলা করেন।”
এজাহারে তিনি দাবি করেন, ২২ অক্টোবর সকাল ৭টার দিকে টঙ্গীর শিলমুন এলাকায় একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁকে অপহরণ করা হয়। এরপর ২৪ ঘণ্টা নির্যাতনের পর পঞ্চগড়ে ফেলে দেওয়া হয়। পরে স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
তবে তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, ঘটনাটি সম্পূর্ণ সাজানো। বিভিন্ন এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণে দেখা যায়, মুফতি মুহিব্বুল্লাহ একাই হেঁটে টঙ্গী থেকে জয়দেবপুরের দিকে যান। এরপর ঢাকার শ্যামলী পরিবহনের কাউন্টার থেকে পঞ্চগড়গামী বাসের টিকিট কেনেন এবং নিজেই বাসে চড়েন। পথে বগুড়ার শেরপুরে একটি হোটেলে নামাজ আদায় করতেও দেখা গেছে তাঁকে।
পুলিশ জানায়, কোথাও কোনো অ্যাম্বুলেন্স চলাচল বা অপহরণের ঘটনা ঘটেনি।
পরে জিজ্ঞাসাবাদে মুফতি মুহিব্বুল্লাহ স্বীকার করেন, তিনি কারও দ্বারা অপহৃত হননি। নিজের কথায় তিনি বলেন,
“আমি হাঁটতে গিয়েছিলাম। তারপর হঠাৎ মাথায় এলো আমি চলে যাই। কোথায় যাচ্ছিলাম জানি না। পরে একটার পর একটা যানবাহনে উঠতে উঠতে পঞ্চগড় পৌঁছে যাই। ঠাণ্ডায় কাপড় খুলে ফেলেছিলাম, আবার পরতে পারিনি। পায়ে শিকল বেঁধে শুয়ে পড়ি—কেন করেছি, কিছুই বুঝিনি।”
পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তদন্তে মানসিক অসংগতি বা ব্যক্তিগত সমস্যার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে আপাতত এটিকে আত্ম-অপহরণের নাটক হিসেবেই দেখা হচ্ছে।

 
											 
											 
											 
											 
											 
											





























