
ছবি সংগৃহীত
মিটফোর্ডের হত্যাকাণ্ডকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।
সোমবার গুলশানে দলীয় চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, “এটি নিছক একটি নৃশংস হত্যাকাণ্ড নয়; বরং পরিকল্পিতভাবে এই ঘটনা ব্যবহার করে রাজনৈতিক পরিবেশ নষ্ট করা হচ্ছে। এ ঘটনাকে ঘিরে চরিত্রহনন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত দোষারোপ এবং বিএনপিকে হেয় করার চেষ্টা হচ্ছে।”
বিএনপি দাবি করে, অভিযুক্তদের মধ্যে অনেকের বিরুদ্ধে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ নেই, বরং অভিযোগপত্রে নাম সংযোজন হয়েছে প্রভাবিতভাবে। দলটি জানিয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট প্রমাণ নেই, এমন তিনজনকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে। একইসঙ্গে ঘটনাটির প্রকৃত তথ্য উদঘাটনে একটি তদন্ত কমিটি গঠনের কথাও জানায় বিএনপি।
ফখরুল বলেন, “এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশ এখনো প্রকৃত অপরাধীদের নাম-পরিচয় জানাতে পারেনি। অথচ ঘটনাটি ভিডিও ধারণ করা হয়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সামনে ঘটে যায়—এতেই জনমনে প্রশ্ন জাগছে।”
তিনি আরও বলেন, ফেসবুকে ঘটনার ভিডিও ও ফটোকার্ড আগে থেকেই প্রস্তুত ছিল, যা থেকে বোঝা যায় এটি পূর্বপরিকল্পিত। সরকার বিরোধী দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে এটি ব্যবহার করছে।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতারা অভিযোগ করেন, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দমন করতে আবারও ফ্যাসিবাদী কৌশল অবলম্বন করছে সরকার। তারা গণতন্ত্র রক্ষায় জাতীয় ঐক্যের ডাক দেন।