
ছবি সংগৃহীত
আনুপাতিক পদ্ধতিতে (পিআর) উচ্চকক্ষ গঠনে বিএনপির সম্মতি না পাওয়ায় বিকল্প প্রস্তাব দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী, ৬৪ জেলা ও ১২ সিটি করপোরেশন থেকে এফপিটিপি পদ্ধতিতে ৭৬ জনপ্রতিনিধি নিয়ে উচ্চকক্ষ গঠনের কথা বলা হয়েছে।
তবে জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি ও ইসলামী আন্দোলনসহ কয়েকটি দল একে ‘অগ্রহণযোগ্য’ আখ্যা দিয়েছে। কমিশনের আগের প্রস্তাবে ৪০০ আসনের নিম্নকক্ষে বিদ্যমান পদ্ধতিতে নির্বাচন এবং পিআর পদ্ধতিতে ১০০ আসনের উচ্চকক্ষ গঠনের কথা ছিল, যাতে ২৮টি দল সম্মত হলেও বিএনপি চায় নারী আসন বণ্টনের আদলে উচ্চকক্ষেও আসন ভাগ হোক।
বিএনপির দাবি, পিআর পদ্ধতিতে কোনো দল এককভাবে দুই-তৃতীয়াংশ আসন পাবে না, ফলে ভবিষ্যতে সাংবিধানিক সংস্কারে সরকার বাধাগ্রস্ত হবে। তবে জামায়াত ও এনসিপি বলছে, অতীতে সরকার সংবিধান ইচ্ছামতো সংশোধন করেছে—এটি রোধ করতেই উচ্চকক্ষে পিআর পদ্ধতি জরুরি।
সম্প্রতি ‘অঘোষিত বৈঠকে’ এই ইস্যুতে বিএনপিকে রাজি করানোর চেষ্টা হলেও ব্যর্থ হয়। বিএনপি জানিয়ে দেয়, পিআর পদ্ধতির উচ্চকক্ষ মানবে না। অন্যদিকে জামায়াত ও এনসিপি বলেছে, এ বিষয়ে তারা কোনো ছাড় দেবে না।
কমিশনের নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী, জেলা ও সিটি করপোরেশন থেকে মনোনীতরা দলীয় কিংবা স্বাধীন প্রার্থী হতে পারেন। ভোটার হবেন সাধারণ নাগরিক নাকি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা—তা আলোচনায় নির্ধারিত হবে।
এ প্রস্তাবকে ‘পাগলামি’ বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতের ডা. তাহের। এনসিপির জাভেদ রাসিন বলেন, পিআর ভিত্তিক উচ্চকক্ষ এবং প্রধানমন্ত্রীর সাংবিধানিক নিয়োগ ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ—এই দুই সংস্কার থেকে সরে আসবে না এনসিপি।