ছবি সংগৃহীত
বাংলাদেশে কারফিউ সম্পূর্ণ প্রত্যাহার, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম উন্মুক্ত ও গুলি না করার নিশ্চয়তা চেয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। কোটা সংস্কার আন্দোলনে হতাহতের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ চেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে খোলাচিঠি লিখেছেন অ্যামনেস্টির মহাসচিব অ্যাগনেস ক্যালামার্ড।
চিঠিতে বেশ কিছু পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন অ্যামনেস্টি প্রধান। তিনি লিখেছেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ১৪৭ জন নিহত হয়েছেন বললেও গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, কমপক্ষে ২১১ জন নিহত হয়েছে। এটা বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে প্রাণঘাতী বিক্ষোভ দমনাভিযান। অনেক বেশি মৃত্যুর এই সংখ্যা বিক্ষোভ ও ভিন্নমতের প্রতি কর্তৃপক্ষের চরম অসহিষ্ণুতা বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
অ্যামনেস্টির মহাসচিব বলেন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন মেনে চলার ক্ষেত্রে শোচনীয় ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। ক্যালামার্ড আরো লিখেছেন, শিক্ষার্থীদের ওপর থেকে গুলি, আবদ্ধ স্থানে কাঁদানে গ্যাস ছোড়া এবং রাইফেলের মতো প্রাণঘাতী আগ্নেয়াস্ত্রের নির্বিঘ্ন ব্যবহার করেছে আইনশৃংখলা বাহিনী। এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃতদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি দেয়ার আহ্বানও জানিয়েছে তিনি।