প্রতীকী ছবি
দেশব্যাপী সড়ক-মহাসড়ক, এক্সপ্রেসওয়ে ও মহানগরীর সড়কে সব যানবাহনের গতিসীমা নির্দিষ্ট করে বিধিমালা অনুমোদন করেছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি এ বিধিমালা অনুমোদন হলেও আজ বুধবার (৮ মে) থেকে এটি কার্যকর হবে।
বিধিমালা অনুযায়ী এক্সপ্রেসওয়েতে প্রাইভেট কার, বাস ও মিনিবাসের গতিসীমা হবে ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার, মোটরসাইকেল ৬০ কিলোমিটার এবং ট্রাক চলবে ৫০ কিলোমিটার গতিতে।
সিটি করপোরেশন, পৌরসভা এবং জেলা শহরের মধ্যে মোটরসাইকেল ও ট্রাক ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৩০ কিলোমিটার গতিতে চলতে পারবে। অন্যান্য যানবাহনের জন্য এই গতিসীমা ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার।
যদি কেউ গতিসীমা লঙ্ঘন করে তার বিরুদ্ধে সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আইন অমান্যকারীকে তিন মাসের কারাদণ্ড বা ১০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হতে পারে।
এগুলো হচ্ছে- মোটর ভেহিক্যাল স্পিড লিমিট গাইডলাইন-২০২৪ এর কয়েকটি ধারা। যা সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে বিআরটিএ প্রথমবারের মতো জারি করেছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) এর চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার বুধবার (০৮ মে) সংবাদমাধ্যমকে বলেন, বিভিন্ন ধরনের সড়ক ও যানবাহনের জন্য বিভিন্ন গতির সীমা নির্ধারণকারী এই বিধিমালা আজ থেকে কার্যকর হবে।
বিআরটিএ বলছে, এখনো সারা দেশে রাস্তাভেদে গতিসীমা নির্ধারণ করা আছে। তবে সব ক্ষেত্রে সেই গতিসীমা মানা হয় না। জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে গতিসীমা থাকলেও অন্যান্য সড়কে থাকে না।
সড়ক-মহাসড়কে ও মহানগরীর সড়কে মোটরযানের গতিসীমা নিয়ে গত সপ্তাহে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে একাধিক সভা হয়েছে অংশীজনদের সঙ্গে। তবে বিআরটিএ কর্মকর্তারা জানান, যদিও গতিসীমা নীতিমালা ছয় মাস আগেই মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। তবে সেটি নিয়ে বিভিন্ন সময় কাজ করাতে প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করতে সময় লেগে গেছে।
এর আগে সব শ্রেণির সড়কে মোটরযানের গতিসীমা নির্ধারণের জন্য গতিসীমা ম্যাপ তৈরি করা হয়। এ ম্যাপে মহাসড়কের কোন অংশে গাড়ির সর্বোচ্চ গতি কত হবে, তা ঠিক করে দেওয়া হয়েছে।