শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

Aloava News24 | আলোআভা নিউজ ২৪

হাওরের মানুষের উন্নয়নে অবদান রাখায় সম্মাননা পেলেন প্রদ্যুৎ কুমার তালুকদার

মো. সাহিদ আহমেদ

প্রকাশিত: ১৫:২৬, ১৩ জুলাই ২০২৩

আপডেট: ১৫:৫৬, ১৩ জুলাই ২০২৩

হাওরের মানুষের উন্নয়নে অবদান রাখায় সম্মাননা পেলেন প্রদ্যুৎ কুমার তালুকদার

সম্মাননা গ্রহণ করছেন প্রদ্যুৎ কুমার তালুকদার

পিছিয়ে পড়া হাওরাঞ্চলের মানুষের কল্যাণে অসাধারণ অবদানের জন্য আন্তর্জাতিক সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক উৎসব ও সাকসেস অ্যাওয়ার্ড ২০২৩ সম্মাননা পেয়েছেন প্রয়াস গ্রুপের চেয়ারম্যান ও হাওর প্রয়াস ফাউন্ডেশনের সভাপতি প্রদ্যুৎ কুমার তালুকদার।

বুধবার (১২ জুলাই) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের মিলনায়তনে ভারত-বাংলাদেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, বিভিন্ন সংগঠক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতিতে এ সম্মাননা গ্রহণ করেন প্রদ্যুৎ কুমার তালুকদার।

সাকসেস ফাউন্ডেশনের সভাপতি অধ্যাপক ডক্টর মোশারফ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলা একাডেমির অহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান নাট্যজন লাকি ইনাম ও বাংলা একাডেমি পদকে ভূষিত কথা সাহিত্যিক ঝর্না রহমান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে কবি নুরুল হুদা পুরস্কার বিজয়ীদের অভিনন্দন জানান। তিনি দেশের সংস্কৃতির বিকাশে উদ্যোগ নেয়ার পাশাপাশি হাওরাঞ্চলের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।

প্রদ্যুৎ কুমার তালুকদার দীর্ঘদিন যাবত হাওরের সুবিধা বঞ্চিত মানুষের কল্যাণে কাজ করে আসছেন। ১৪ই জানুয়ারি ২০২১ সালে তিনি তরুণদের নিয়ে প্রতিষ্ঠা করেন হাওর প্রয়াস ফাউন্ডেশন।

প্রদ্যুৎ কুমার সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার রামজীবনপুরের স্বর্গীয় বীরেন্দ্র কুমার তালুকদার ও স্বর্গীয় আভা রানী তালুকদারের সন্তান। হাওরের সুবিধা বঞ্চিত মানুষের জীবনমান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় এর আগেও একাধিক সম্মাননা পেয়েছেন তিনি।

হাওরের সকল দুর্যোগে প্রদ্যুৎ কুমার দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ান। ২০২২ সালে, সুনামগঞ্জ একটি ধ্বংসাত্মক বন্যার মুখোমুখি হয়েছিল, যা এর ইতিহাসে সবচেয়ে মারাত্মক। প্রয়াস ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে, ক্ষতিগ্রস্ত সম্প্রদায়কে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করা হয়েছিল।

হাওর প্রয়াস ফাউন্ডেশনের প্রচেষ্টায় বন্যা কবলিত হাওর এলাকার ১০ হাজার বাসিন্দাদের জন্য খাদ্য, চিকিৎসা ব্যবস্থা, বিশুদ্ধ পানি, স্যালাইন এবং নতুন পোশাকের মতো গুরুত্বপূর্ণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

ইতিমধ্যে দিরাই ও শাল্লায় ২০টি প্রাক-প্রাথমিক বিদ্যালয় ৬মাস ধরে পরিচালিত করে আসছেন। যেখানে ৩-৫ বছর বয়সী কোমলমতি শিশুতে নৈতিক শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। বিদ্যার্জনের জন্য হাওর এলাকার ছোট্ট শিশুদের যে প্রতিকূলতা এবং বিপদসংকুল পথ পাড়ি দিতে হয় তা আর কোথাও দেখা যায়না।

তাই এ অঞ্চলে প্রাথমিকে ঝরে পড়ার হার দেশের অন্যান্য অংশের তুলনায় তুলনামূলক বেশি। প্রাথমিকে ঝরে পড়ার আরও কারণ রয়েছে। শিক্ষা অর্জনে হাওরের শিশুরা যে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয় তা অতুলনীয়। দেশের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় এই অঞ্চলে ঝরে পড়ার হার উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। হাওর অঞ্চলে বিদ্যমান দারিদ্র্যের সাথে মিলিত হয়ে তারা যে প্রতিকূলতার মুখোমুখি হয় তা এই দুর্ভাগ্যজনক পরিস্থিতিতে অবদান রাখে। এই সব বাধা সত্ত্বেও, প্রদ্যুৎ কুমার তালুকদারের গড়া হাওর প্রয়াস ফাউন্ডেশন এই অঞ্চলের মধ্যে শিক্ষার অগ্রগতি চালাতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।

 

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়