
ছবি সংগৃহীত
মাত্র এক বছরে সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশের আমানতের পরিমাণ বেড়েছে প্রায় ৮ হাজার ৮৩২ কোটি টাকা। ২০২৩ সালে যেখানে এ অঙ্ক ছিল ১৮ মিলিয়ন সুইস ফ্রাঁ, ২০২৪ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৮৯.৫৪ মিলিয়ন ফ্রাঁ।
সুইস ন্যাশনাল ব্যাংকের (এসএনবি) বার্ষিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, এর মধ্যে বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর আমানত ৫৭৬.৬১ মিলিয়ন ফ্রাঁ, যা আগের বছরের তুলনায় ১৬৫ গুণ বেশি। ব্যক্তিগত আমানত কিছুটা কমে হয়েছে ১২.৬২ মিলিয়ন ফ্রাঁ।
বিশ্লেষকদের মতে, দেশের ডলার সংকট, অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা ও প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতার কারণে সুইস ব্যাংকে অর্থ গচ্ছিত রাখার প্রবণতা বেড়েছে।
তবে বাংলাদেশ এখনো ‘অটোমেটিক এক্সচেঞ্জ অব ইনফরমেশন (AEOI)’ প্ল্যাটফর্মে অংশ নেয়নি, যার ফলে সুইস ব্যাংকগুলো বাংলাদেশিদের হিসাব সম্পর্কে তথ্য দিতে বাধ্য নয়।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, অর্থ পাচার ঠেকাতে আন্তর্জাতিক স্বচ্ছতা কাঠামোয় যুক্ত হওয়া, শক্তিশালী আইন ও নজরদারির ব্যবস্থা ছাড়া এ প্রবণতা থামানো কঠিন।