
ছবিঃ এ আই
ঋতুপর্ণা চাকমার জোড়া গোলে মিয়ানমারকে হারিয়ে নতুন ইতিহাস লিখেছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। এ জয়ে প্রথমবারের মতো নিশ্চিত হয়েছে মেয়েদের এশিয়া কাপের চূড়ান্ত পর্বে খেলা। এখন ২০২৬ নারী এশিয়ান কাপের চূড়ান্ত পর্বে খেলার পাশাপাশি বাংলাদেশের নারী দলের সামনে হাতছানি দিচ্ছে ব্রাজিলে অনুষ্ঠিতব্য ২০২৭ বিশ্বকাপে অংশগ্রহণের ঐতিহাসিক সুযোগ! কারণ এশিয়ান কাপের চূড়ান্ত পর্ব হবে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের অংশ।
এশিয়ান কাপে প্রথমবারের মতো খেলতে যাচ্ছে লাল-সবুজের মেয়েরা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া পাঁচ দলের একটি।
এছাড়া স্বাগতিক হিসেবে সুযোগ পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া। আগের আসরের সেরা তিন দল—চ্যাম্পিয়ন চীন, রানার্সআপ দক্ষিণ কোরিয়া ও তৃতীয় হওয়া জাপান পেয়েছে সরাসরি অংশগ্রহণের টিকিট।
২০২৬ সালের ১ থেকে ২১ মার্চ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার পাঁচটি ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে নারী এশিয়ান কাপ। সিডনি, গোল্ড কোস্ট ও পার্থের স্টেডিয়ামগুলোতে হবে ম্যাচগুলো।
এই আসরের মধ্য দিয়েই নির্ধারিত হবে ২০২৭ নারী বিশ্বকাপের এশিয়ান প্রতিনিধিরা।
এশিয়ান কাপ থেকে সরাসরি ছয়টি দল পাবে বিশ্বকাপের টিকিট। সেমিফাইনালে ওঠা চারটি দল সরাসরি যাবে ব্রাজিলে। বাকি দুটি টিকিটের জন্য লড়বে কোয়ার্টার ফাইনালে হেরে যাওয়া চার দল।
সেখান থেকে জয়ী দুই দল পাবে টিকিট, বাকি দুই দল যাবে আন্তমহাদেশীয় প্লে-অফে।
বিশ্বকাপের পাশাপাশি ২০২৮ লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিকের বাছাইপর্বও নির্ভর করবে এই এশিয়ান কাপের পারফরম্যান্সের ওপর। চূড়ান্ত পর্বে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠা আটটি দল খেলবে অলিম্পিকের বাছাইপর্ব। দুটি গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলবে তারা। দুই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন পাবে অলিম্পিকের টিকিট।
এশিয়ান কাপের চূড়ান্ত পর্বে ১২টি দল খেলবে তিনটি গ্রুপে ভাগ হয়ে। গ্রুপ ‘এ’-তে থাকবে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া। বাকি ১১ দলের মধ্যে ড্রয়ের মাধ্যমে নির্ধারিত হবে গ্রুপ ভাগ।
সিডনি টাউন হলে আগামী ২৯ জুলাই ড্র অনুষ্ঠিত হবে। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ের ভিত্তিতে চারটি পটে ভাগ করে রাখা হবে দলগুলো। বাংলাদেশের বর্তমান র্যাঙ্কিং ১২৮, তাই চার নম্বর পটেই থাকার সম্ভাবনা বেশি।
গ্রুপ পর্ব শেষে তিন গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ এবং সেরা দুটি তৃতীয় দল পাবে কোয়ার্টার ফাইনালের টিকিট।