সংগৃহীত
ডেঙ্গু নিয়ে বর্তমান মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের বক্তব্যকে মনগড়া ও অসত্য বলে দাবি করলেন ঢাকা-৬ আসনের সংসদ সদস্য ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাঈদ খোকন।
শনিবার (১৮ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে এই মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠিত হচ্ছে। শুরুতে ভিডিও ডকুমেন্টারির মাধ্যমে সাঈদ খোকন মেয়র থাকা অবস্থায় উন্নয়ন কার্যক্রমগুলো তুলে ধরা হয়।
রোগীর ও মৃতের যে সংখ্যা তুলে ধরা হয়েছে তা সঠিক নয় উল্লেখ করে সাঈদ খোকন বলেন, পত্রপত্রিকাসহ সব জায়গায় ২০২৩ সালের ডেঙ্গু সবধরনের রেকর্ড ছাড়িয়েছে বলা হলেও গত বৃহস্পতিবারের তথ্য কিভাবে প্রকাশ করলেন তা বোধগম্য নয়।
সংবাদ সম্মেলনে সাঈদ খোকন বলেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আপ্রাণ চেষ্টা ছিল আমাদের। ২০১৯ সালে ঢাকা শহরে ব্যাপক হারে এডিস মশার বিস্তার ঘটে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ওই বছর ঢাকাসহ সারাদেশে এক লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছিল। এর মধ্যে ১৭৯ জন মারা যান। তারপরও এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে আমি আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে গেছি। যদিও ২০২৩ সালে ডেঙ্গু আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা দেশের ইতিহাসে অতীতের সব বছরের রেকর্ড ছাড়িয়েছে।
তিনি জানান, ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন। এর মধ্যে ঢাকাতেই এক লাখ ১০ হাজার আটজন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। একই বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এক হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকাতে ৯৮০ জন মারা যান।
ডেঙ্গু মোকাবিলায় দোষারোপের রাজনীতি না করে নিজের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে বর্তমান দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাথে কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন সাঈদ খোকন। আগামীতে ডেঙ্গু মোকাবিলায় যেকোনো সহযোগিতা প্রয়োজন হলে এগিয়ে আসবেন বলেও জানান তিনি।
এসময় সিটি টোলের নামে কাচা বাজারে চাঁদাবাজি বন্ধ হলে মাছ, মাংস ও সবজির দাম কমানো সম্ভব বলেও দাবি সাবেক মেয়রের। রাজধানীতে লাঠি হাতে চাঁদাবাজি হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগনের ওপর চাপ তৈরি করে বর্তমান মেয়র আয় বাড়িয়েছে, কবরস্থানেও টোল বসানো হয়েছে।
দক্ষিণ ঢাকা, স্মৃতির পাতায় ফিরে দেখা শীর্ষক মিট দদ্য প্রেসে ঢাকা-৬ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক মেয়র এসব কথা বলেন। সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে অনুষ্ঠিত হলে তিনি বলেন, মেয়র থাকা অবস্থায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ব্যাপক উন্নয়ন তিনি করেছিলেন।
এনপি/আর