রোববার ২৭ জুলাই ২০২৫, শ্রাবণ ১২ ১৪৩২

Aloava News24 | আলোআভা নিউজ ২৪

গাজায় হামলা ও অনাহার—এক দিনে নিহত অন্তত ৭১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১:৩৭, ২৭ জুলাই ২০২৫

গাজায় হামলা ও অনাহার—এক দিনে নিহত অন্তত ৭১

ছবি সংগৃহীত

ইসরায়েলি অবরোধে বিপর্যস্ত গাজা ভয়াবহ মানবিক সংকটে পড়েছে। খাদ্য ও চিকিৎসার অভাবে যেমন মানুষ মারা যাচ্ছে, তেমনি অব্যাহত হামলায় বাড়ছে প্রাণহানি। আল-জাজিরার তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন অন্তত ৭১ জন। তাঁদের অনেকে ত্রাণের আশায় অপেক্ষমাণ ছিলেন।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, শুধু শনিবার ক্ষুধা ও অপুষ্টিতে মারা গেছেন পাঁচজন। এই কারণে মোট মৃত্যু দাঁড়িয়েছে ১২৭ জনে, যার মধ্যে ৮৫ জন শিশু।

চিকিৎসা সূত্রে জানা গেছে, একদিনেই ত্রাণ সংগ্রহ করতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৪২ জন বেসামরিক নাগরিক।

আন্তর্জাতিক চাপের মুখে ইসরায়েল সাময়িকভাবে হামলা বন্ধ রাখার ঘোষণা দিলেও কোথায় তা কার্যকর হবে, সে বিষয়ে কোনো স্পষ্টতা দেয়নি। এদিকে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন সংস্থা ত্রাণ সরবরাহে বাধা সৃষ্টি করার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছে। ইসরায়েল বরং জাতিসংঘকেই দোষারোপ করছে ত্রাণ বিতরণে ব্যর্থতার জন্য।

ইসরায়েল ও সংযুক্ত আরব আমিরাত আকাশপথে ত্রাণ পাঠানোর কথা বললেও জাতিসংঘের ইউএনআরডব্লিউএর প্রধান ফিলিপ লাজারিনি একে “মূল সংকট থেকে দৃষ্টি সরানোর ব্যয়বহুল পন্থা” বলে মন্তব্য করেছেন। তাঁর মতে, রাস্তাগুলো না খুললে দুর্ভিক্ষ ঠেকানো সম্ভব নয়।

গাজার উত্তরাঞ্চল থেকে আল-জাজিরার সংবাদদাতা জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত মাত্র সাতটি ত্রাণ প্যালেট ফেলা হয়েছে—একটি ট্রাকের চেয়েও কম। তারও কিছু ফেলা হয়েছে 'সামরিক নিষিদ্ধ' এলাকায়, যা সাধারণ মানুষের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।

এছাড়া শনিবার ইসরায়েল 'নিরাপদ এলাকা' ঘোষিত খান ইউনিসের আল-মাওয়াসিতে ড্রোন হামলা চালায়, যাতে অন্তত ছয়জন নিহত হন। এতে নিরাপদ এলাকার বাস্তবতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

গাজার সিভিল ডিফেন্স জানিয়েছে, জ্বালানি ও যন্ত্রাংশের অভাবে জরুরি সেবা বন্ধ হওয়ার মুখে। তারা আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছে।

চিকিৎসা সূত্রগুলো বলছে, অপুষ্টিজনিত মৃত্যু এখন আর আশঙ্কা নয়—বরং তা বাস্তবতা। সংঘর্ষের পাশাপাশি অনাহার যেন আরেকটি যুদ্ধ হয়ে উঠেছে গাজায়।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়