
ছবি সংগৃহীত
ঢাকায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তদন্তে থাকা একাধিক বাংলাদেশি ধনকুবের যুক্তরাজ্যে তাদের সম্পত্তি বিক্রি, হস্তান্তর বা বন্ধক করছেন বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এবং ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল।
গার্ডিয়ানের অনুসন্ধান অনুযায়ী, ভূমি নিবন্ধন কার্যালয়ের তথ্যে দেখা গেছে, গত এক বছরে অন্তত ২০টি সম্পত্তি লেনদেনের আবেদন জমা পড়েছে। এর মধ্যে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, বেক্সিমকোর ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান এবং বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানের পরিবারের মালিকানাধীন সম্পত্তিও রয়েছে।
গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন বলছে, শেখ হাসিনার পতনের পর তদন্তাধীন ক্ষমতাশালী ব্যক্তিরা রাষ্ট্রীয় অর্থ বিদেশে পাচার করে যুক্তরাজ্যে বিলাসবহুল বাড়ি ও অ্যাপার্টমেন্ট কিনেছেন। গত মে মাসে এনসিএ সালমান এফ রহমানের পরিবারের ৯ কোটি পাউন্ড এবং সাইফুজ্জামান চৌধুরীর ১৭ কোটি পাউন্ড মূল্যের সম্পত্তি জব্দ করে।
দুদক ও বাংলাদেশ ব্যাংক যুক্তরাজ্যের কাছে আরও সম্পদ জব্দের আহ্বান জানিয়েছে। এর নেতৃত্বে রয়েছেন গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যের আইন প্রতিষ্ঠানগুলো সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের লেনদেনে সহায়তা করেছে।
বসুন্ধরা পরিবারের সদস্য সায়েম সোবহান আনভীরের একটি সম্পত্তি সম্প্রতি হস্তান্তর ও বিক্রি হয়েছে। পরিবারটি সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে। সালমান এফ রহমানের পরিবারও অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে এসব অভিযোগ তোলা হচ্ছে।
যুক্তরাজ্যের এমপি জো পাওয়েল বলেছেন, দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে এসব সম্পদ হারিয়ে যেতে পারে। তিনি আরও তদন্তের আহ্বান জানান।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল সতর্ক করে বলেছে, আইন সংস্থাগুলোকে তাদের গ্রাহকের সম্পদের উৎস যাচাই এবং সন্দেহজনক লেনদেন পুলিশকে জানাতে হবে, না হলে পাচার হওয়া অর্থ আন্তর্জাতিক আর্থিক ব্যবস্থায় মিলিয়ে যেতে পারে।