শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪, শ্রাবণ ১২ ১৪৩১

Aloava News24 | আলোআভা নিউজ ২৪

সংসদ সদস্য পদ ফিরে পেলেন রাহুল গান্ধী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:৩৪, ৭ আগস্ট ২০২৩

সংসদ সদস্য পদ ফিরে পেলেন রাহুল গান্ধী

ছবি সংগৃহীত

সংসদ সদস্য পদ ফিরে পেয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। এর আগে শুক্রবারই সুপ্রিম কোর্ট তার শাস্তি স্থগিত করেন। রাহুলকে তার সাংসদ পদ ফিরিয়ে দিয়েছেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা।

স্পিকারের সচিবালয় থেকে সোমবার সকালে বিষয়ে নির্দেশ দেওয়া হয়। এর ফলে মঙ্গলবার সংসদে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে যে অনাস্থা প্রস্তাব আনতে চলেছেন বিরোধীরা, সেই কর্মসূচিতে যোগ দিতে পারবেন তিনি।

কেরালার ওয়েনাড়ের সংসদ সদস্য রাহুল গান্ধীকে মোদি পদবি অবমাননা মামলায় দোষী সাব্যস্ত করেছিল সুরাতের আদালত। তাকে দুবছরের কারাদণ্ডও দিয়েছিলেন সুরাত আদালতের বিচারক। যিনি এক সময়ে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের আইনজীবীও ছিলেন। ওই শাস্তির জন্যই রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ হয়ে যায়। এমনকি, রাহুলের আগামী লোকসভা নির্বাচনে ভোটে দাঁড়ানো নিয়েও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়।

কিন্তু শুক্রবার সুরাত আদালতের দেওয়া সেই শাস্তির নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। এমনকি রাহুলকে দেওয়া ওই মামলার শাস্তি এবং বিচারপ্রক্রিয়া নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে দেশের শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের ওই সিদ্ধান্তের পরই রাহুলের সাংসদ পদ ফিরে পাওয়ার রাস্তা সুগম হয়।

শুক্রবারই রাহুলকে তার সংসদ সদস্য পদ ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য লোকসভায় আর্জিও পেশ করে কংগ্রেস।

কংগ্রেস নেতা কেসি বেণুগোপাল বলেন, ‘‘আমরা আশা করব স্পিকার যেমন দ্রুততার সঙ্গে রাহুলজির পদ খারিজ করেছিলেন, তেমনই সক্রিয়তা দেখা যাবে সাংসদ পদ ফিরিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রেও।

লোকসভায় কংগ্রেসের নেতা অধীর চৌধুরীও বলেন, ‘‘রাহুলজিকে সাংসদ পদ ফিরিয়ে দিতেই হবে।’’ শুক্রবারের পর সোমবারই বসে লোকসভার অধিবেশন। সোমবার সকালেই রাহুলের সাংসদ পদ ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে লোকসভার স্পিকারের সচিবালয়। এই সিদ্ধান্তের ফলে মঙ্গলবার বিরোধীরা যখন সংসদে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনবেন, তখন সংসদে উপস্থিত থাকবেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল। সে ক্ষেত্রে মোদির সরকারের বিরুদ্ধে বক্তৃতা দিতেও দেখা যেতে পারে তাকে।

২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে কর্ণাটকে প্রচারে গিয়ে মোদি পদবি নিয়ে মন্তব্যের জন্য গত ২৩ মার্চ রাহুলকে দুবছরের কারাদণ্ড দেয় সুরাত ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। তারই ভিত্তিতে ভারতীয় সংবিধানের ১০২()- অনুচ্ছেদ এবং জনপ্রতিনিধিত্ব আইন (১৯৫১)-এর নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ২৪ মার্চ রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ করেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা।

জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের () ধারা অনুযায়ী, কোনো অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে সাংসদ-বিধায়কের দুবছর বা তার বেশি কারাদণ্ড হলে তৎক্ষণাৎ সাংসদ পদ চলে যায়। রাহুলকে ওই মেয়াদের সাজা দেওয়ার ফলে শুধু সাংসদ পদ হারানো নয়, ছয় বছরের জন্য রাহুলের ভোটে লড়াও নিষিদ্ধ হয়ে গিয়েছিল। পরে সুরাত আদালতের রায় বহাল রেখেছিল সুরাত দায়রা আদালত এবং গুজরাত হাই কোর্টও।

কিন্তু শুক্রবারের সুপ্রিম কোর্টের স্থগিতাদেশের ফলে ২০২৪ সালে রাহুলের ভোটে লড়ার পথেও বাধা দূর হয়। কারণ জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের () ধারা অনুযায়ী সাজার মেয়াদ দুবছরের চেয়ে এক দিন কম হলেও দোষী জনপ্রতিনিধির পদ খারিজ হবে না। বলবৎ হবে না, ছয় বছর পর্যন্ত ভোটে লড়ার উপরে নিষেধাজ্ঞাও।

সূত্র: এনডিটিভি

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়