
ছবি: ইন্টারনেট
যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রা ডলারের বিপরীতে ইরানের মুদ্রার রেকর্ড দরপতন ঘটেছে। তেহরানের রেভ্যুলুশনারি গার্ডের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ)। এতে ইরানিয়ান রিয়ালের মূল্য ব্যাপক হ্রাস পেয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে বিজনেস রেকর্ডারের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। এতে বলা হয়, পরমাণু আলোচনা পুনরুজ্জীবিত করার প্রচেষ্টা থমকে যাওয়ায় সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ইইউ ও তেহরানের সম্পর্কের চরম অবনতি ঘটেছে।
সম্প্রতি বেশ কয়েকজন ইউরোপীয় নাগরিককে আটক করেছে ইরান। সেই সঙ্গে দেশের অভ্যন্তরে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সহিংস আচরণ এবং মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করায় তীব্র সমালোচনার শিকার হয়ে আসছে তেহরান।
ইরানের বিরুদ্ধে চতুর্থ দফায় নিষেধাজ্ঞা দিতে আলোচনা করছে ইইউ। কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, আগামী সপ্তাহে ইউরোপিয়ান অঞ্চলের নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে পারেন রেভ্যুলুশনারি গার্ডের একাধিক সদস্য। এমনকি তাদের সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে আখ্যায়িত করতে চায় কিছু ইইউ সদস্য।
পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার (২১ জানুয়ারি) মার্কিন তথা প্রধান আন্তর্জাতিক মুদ্রার বিপরীতে ইরানের কারেন্সির ব্যাপক দাম কমেছে। প্রতি ডলারের মূল্য স্থির হয়েছে ৪৪৭০০০ রিয়ালে। আগের দিন (রোববার) ডলারপ্রতি যা ছিল ৪৩০৫০০ রিয়াল।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর ইরানে পুলিশি হেফাজতে মারা যান ২২ বছর বয়সী তরুণী মাহশা আমিনি। হিজাব না পরার অভিযোগে তাকে আটক করা হয়েছিল। তার মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন দেশটির জনগণ।
এরপর ইরানের ওপর নানা নিষেধাজ্ঞা দেয় পশ্চিমা মহল। সেই থেকে ডলারের বিপরীতে রিয়ালের মান কমেছে ২৯ শতাংশ।
ইকোনমিক ইকোইরান জানিয়েছে, রেভ্যুলুশনারি গার্ডের সদস্যদের জঙ্গি গোষ্ঠীর তালিকায় রাখতে যাচ্ছে ইইউ। পাশাপাশি ইরানের পণ্যবাহী জাহাজ এবং তেল ট্যাংকারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে পশ্চিমা বিশ্ব। এতে দেশটির ওপর রাজনৈতিক চাপ বাড়ছে। তাতে ডলারের বিরুদ্ধে শক্তি হারাচ্ছে রিয়াল।