ফাইল ফটো
পাকিস্তানে আগামীতে প্রতি কেজি মুরগির দাম ১০০০ রুপি হতে পারে। ফিড সংকটে এই আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) দেশটির পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন (পিপিএ) চেয়ারম্যান চৌধুরী মোহাম্মদ আশরাফ এই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বিজনেস রেকর্ডারের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
পাকিস্তানে অন্যতম আমিষ জাতীয় খাদ্য মুরগির মাংস। বর্তমানে করাচিতে কেজিপ্রতি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৬০০ রুপির মধ্যে।
আজ নিউজকে দেয়া সাক্ষাৎকারে আশরাফ বলেন, শূন্য দশমিক ৭৫ মিলিয়ন টন সয়াবিন এবং ক্যানোলা বহনকারী প্রায় এক ডজন কনটেইনার বন্দরে আটকে আছে।
তিনি বলেন, আমদানি কর পরিশোধ করা সত্ত্বেও কনটেইনারগুলো ছাড় পাচ্ছে না। সরকারি টেকনিক্যাল ইস্যুতে সেগুলো আটকে আছে।
এক কর্মকর্তা বলেন, পোল্ট্রি শিল্পের জন্য আমরা ১৫ দিন বা এক মাসের উপাদান মজুত রাখতে পারি। ইতোমধ্যে তা শেষ হয়ে গেছে। আমাদের কাছে এখন আর সয়াবিন নেই।
তিনি বলেন, যদি সময়মতো সয়াবিন ও ক্যানোলা সরবরাহ করা সম্ভব না হয়, তাহলে ফিড প্রস্তুতকারকরা সমস্যায় পড়বেন। ইতোমধ্যে কৃষকদের তারা জানিয়ে দিয়েছেন, তাদের কাছে পর্যাপ্ত মজুত নেই।
পিপিএ চেয়ারম্যান বলেন, ফিড সরবরাহ পর্যাপ্ত না হওয়ায় সাম্প্রতিক সময়ে মুরগির দাম বেড়েছে। সামনে বাজারে ব্যাপক হারে মুরগির সংকট দেখা দিতে পারে। এতে চলতি মাসেই প্রতি কেজির মূল্য ১০০০ পাকিস্তানি রুপিতে উঠতে পারে।
এরই মধ্যে পোল্ট্রি ফিড আমদানি সহজ করতে বিক্ষোভের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পিপিএ। এছাড়া এ ব্যাপারে সরকারকে অবহিত করার কথা জানিয়েছে তারা।