
ছবি: ইন্টারনেট
কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে ভূমিধসের আগাম সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। মঙ্গলবার এ সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, বুধবার (আগামীকাল) সকাল ১০টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা ভারি থেকে অতিভারি (৮৮ মি.মি/২৪ঘণ্টা) বৃষ্টিপাত বা ভারি বর্ষণ হতে পারে। সে জন্য ক্যাম্প গুলোতে সর্তকতা জারি করা হয়েছে।
‘ভূমিধস’ প্রবণ এলাকা হিসেবে পরিচিত উখিয়া-টেকনাফের ৩৩টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ঝুঁকি এড়াতে প্রস্তুতি নেওয়ার কথা জানিয়েছে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয়।
জানা গেছে, সম্ভাব্য ঝুঁকি বিবেচনায় পাহাড়ি এলাকায় বসবাসরত রোহিঙ্গাদের সতর্কতা অবলম্বনের আগাম অনুরোধ জানিয়েছে ক্যাম্প প্রশাসন।
ভারি বর্ষণে উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্পে আশ্রয় নেও ১২ লক্ষাধিক রোহিঙ্গার মধ্যে এক লক্ষাধিক রোহিঙ্গা পাহাড় ধসের ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছে। নতুন-পুরনো মিলে উখিয়া টেকনাফে আশ্রয় নেওয়া ১২ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা ৬ হাজার একরের বেশি বনভূমি দখল করে ঝুপড়ি বানিয়েছে। এই বিশাল সংখ্যক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর আবাসস্থল বানাতে গিয়ে উঁচু-নিচু পাহাড়-টিলা কেটে সমতল করা হয়েছে। কিছু রোহিঙ্গা রয়েছে পাহাড়ের চূড়ায়। এসব পাহাড় ও বৃক্ষ কাটার কারণে ক্যাম্প অভ্যন্তরে কিছু সংখ্যক স্থানে ভারি বর্ষণে আশঙ্কা রয়েছে পাহাড় ধসের।
তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বর্ষায় প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
ক্যাম্পের একাধিক রোহিঙ্গা বলেন, ‘অল্প বৃষ্টিতেই আমাদের অবস্থা কাহিল হয়ে উঠেছে। উচু পাহাড়ে যারা আছে, তাদের আর আমরা যারা নিচে আছি সবাই পাহাড় ধসের আতঙ্কে রয়েছি।’
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, পাহাড়ের পাদদেশে বা চূড়ায় ঝুঁকিপূর্ণভাবে যারা বাস করছে তাদেরকে সতর্কতা থাকতে বলা হয়েছে এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় ক্যাম্পের অভ্যন্তরে থাকা মসজিদ, সাইক্লোন শেল্টার, আশপাশের স্কুলের ভবন প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ইতোমধ্যে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান ও সদস্যদেরকে নিজ নিজ এলাকায় সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।