বৃহস্পতিবার ২২ মে ২০২৫, জ্যৈষ্ঠ ৭ ১৪৩২

Aloava News24 | আলোআভা নিউজ ২৪

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে আবারও বাসে ডাকাতি

আলোআভা ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৭:৪৪, ২১ মে ২০২৫

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে আবারও বাসে ডাকাতি

ছবি: ইন্টারনেট

ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে আবারও বাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (২০ মে) রাত সাড়ে ১১টা থেকে বুধবার ভোর ৫টা পর্যন্ত একটি যাত্রীবাহী বাসের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ডাকাত দল যাত্রীদের সবকিছু লুটে নেয়। লুটপাটের সময় -১০ জন নারী যাত্রীকে শ্লীলতাহানীর ঘটনাও ঘটে বলে অভিযোগ উঠেছে।

বাসের চালক, সুপারভাইজার যাত্রীরা জানান, মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে ঢাকার আব্দুল্লাহপুর থেকে আল ইমরান পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস রংপুরের উদ্দেশে যাত্রা করে।

বাসচালকের সহকারী আতিকুর রহমান বলেন, পথে সাভারের নরসিংহপুর, বাইপাইল, আশুলিয়া থেকে কিছু যাত্রী ওঠেন। প্রায় ১০ জন নারীসহ ৪৫ জন যাত্রী নিয়ে বাসটি রাত সাড়ে ১১টার দিকে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা অতিক্রম করে। যমুনা সেতুর পূর্বপ্রান্তের সংযোগ সড়কের কয়েক কিলোমিটার যাওয়ার পর যাত্রীবেশী -১০ জন ডাকাত ছুরি, চাপাতিসহ দেশীয় অস্ত্রের মুখে চালকের কাছ থেকে বাসটির নিয়ন্ত্রণ নেয়। পরে তারা যাত্রীদের বাসের চালকসহ সবার চোখ-মুখ বেঁধে ফেলে।

যমুনা সেতুর পূর্বপ্রান্তের গোলচত্বর এলাকায় গিয়ে বাসটি ঘুরিয়ে আবার ঢাকার দিকে চলতে থাকে। চলাচলের সময় প্রত্যেক যাত্রীকে তল্লাশি করে মুঠোফোন, নগদ টাকা, গয়না এবং অন্যান্য মালামাল লুটে নেয়। তারা বাসটি নিয়ে সাভারের চন্দ্রা-আশুলিয়া পর্যন্ত যায়। পরে রাতভর কয়েকবার বাসটি নিয়ে ওই এলাকা থেকে টাঙ্গাইল পর্যন্ত চক্কর দেয়।

বাসের চালক আবেদ আলী বলেন, সারা রাতে বাসটি নিয়ে ডাকাতরা থেকে বার টাঙ্গাইল চন্দ্রা-আশুলিয়া যাওয়া-আসা করে। পরে ভোর সাড়ে ৫টার দিকে টাঙ্গাইল শহর বাইপাস সড়কের শিবপুর এলাকায় বাসটি রেখে ডাকাতদল চলে যায়। পরে বাসের যাত্রীদের নিয়ে সকালে টাঙ্গাইল সদর থানায় যাই।

বাসের যাত্রী বগুড়ার আদমদীঘির জুয়েল মিয়া জানান, টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য নারী যাত্রীদের তল্লাশির সময় শ্লীলতাহানীর ঘটনা ঘটে। তার চোখমুখ বাঁধা ছিল। নারী যাত্রীদের কান্নাকাটি কাকুতি মিনতি শুনেছেন।

অপর যাত্রী রংপুরের কাউনিয়া এলাকার আকাশ মিয়া বলেন, হাত-পা, চোখ-মুখ বেঁধে ডাকাতরা প্রত্যেক যাত্রীর দেহ কয়েকবার করে তল্লাশি করে। যার যা কিছু ছিল সব নিয়ে যায়।

বুধবার সকালে সকালে পুলিশ সুপার মিজানুর রহমানসহ ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা বাসের স্টাফ যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেছেন।

টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানবীর আহমদ বলেন, মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। ডাকাত দলকে চিহ্নিত করতে পুলিশ কাজ শুরু করেছে।

গত ১৭ ফেব্রুয়ারি এই মহাসড়কে ইউনিক রয়েলস এর একটি বাসে ডাকাতি নারী যাত্রীদের শ্লীলতাহানীর ঘটনা ঘটে। ২০২২ সালের আগস্ট একই কায়দায় কুষ্টিয়াগামী একটি বাসে ডাকাতি নারী যাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়