
ছবি সংগৃহীত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া সীমান্ত পিলার ২০২৪/২-এস হতে আনুমানিক ৯০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সেনারবাদী নামক গ্রামে, বসত বাড়ির চারিপাশে সিসি ক্যামেরা লাগিয়ে সীমান্তরক্ষীসহ সকল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নজরদারিতে রেখে রমরমা মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে একটি পরিবার।
এমন গোয়েন্দা খবরের ভিত্তিতে বুধবার (২৫ জুন) বিকালে উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফয়সাল উদ্দিন এর নেতৃতে বিওপি কমান্ডার সুবেদার নুরুল আমিন, আখাউড়া থানার সাব ইন্সপেক্টর স্বপন কুমার,জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ইন্সপেক্টর নজরুল ইসলামসহ ২৯ সদস্যের একটি (টাস্কফোর্স ) টিম সেনারবাদী গ্রামের মো. মোরশেদ মিয়ার ওই বাড়িতে বিশেষ অভিযান চালায়।
এ সময় বাড়িটি হতে ৩৫০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ৬০০ পিস ট্র্যাপান্যাল ট্যাবলেট, ৮ টি সিসি ক্যামেরা, সিসি ক্যামেরা নিয়ন্ত্রনকৃত ২টি ল্যাপটপ, বিভিন্ন মডেলের ৩২টি মোবাইল এবং বাংলাদেশি নগদ-২১০০০/-( একুশ হাজার) টাকাও এক পরিবারের তিন ভাইবোনসহ মোট ৫জনকে আটক করা হয়। এবং আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের নিমিত্তে আখাউড়া থানার সাব ইন্সপেক্টর স্বপন কুমার এর নিকট হস্তান্তর করা হয়। এসময় এলাকার স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
আটককৃতরা হলেন, মো. জাহের মিয়ার ছেলে মো. ইদন মিয়া (২৫), মো. মোরশেদ মিয়া (২৮) ও জাহের মিয়ার মেয়ে মোছা. আয়মন আক্তার(৩০) এবং একই বাড়ির কালু মিয়ার স্ত্রী মোছা. স্বপ্না আক্তার (২৮) ও ফারুক মিয়ার ছেলে মো. জনি মিয়া (২৯)।
সুলতানপুর ব্যাটালিয়ন (৬০ বিজিবি) এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. জিয়াউর রহমান জানান, দীর্ঘদিন যাবৎ এসব চোরাচালানী আটকের নিমিত্তে সুলতানপুর ব্যাটলিয়ন গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে। এরই অংশ হিসেবে আজ (বুধবার) বিকালে উল্লেখিত স্থানে টাস্কফোর্স অভিযান পরিচালনা করে তাদের আটক করা হয়েছে।
অভিযান পরিচালনাকারী ম্যাজিট্রেট ও উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফয়সাল উদ্দিন জানান, ওই বাড়িতে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে বিজিবিসহ সকল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নজরদারিতে রেখে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এমন অভিযোগের বিত্তিতে আজ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এবং মাদকও মাদক ব্যবসায় ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করা হয়