ছবি: ইন্টারনেট
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্বদ্যিালয় বুয়েটকে রাজনীতিমুক্ত রাখতে আবারও আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা।
বুধবার রাতে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রবেশের প্রতিবাদে এই আন্দোলন। প্রবেশে সহায়তাকারী বুয়েটের ৬ শিক্ষার্থীকে স্থায়ী বহিস্কারের দাবি জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার জন্য ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালকের পদত্যাগসহ ৬ দফা দাবিও জানিয়েছেন তারা।
বুয়েট ক্যাম্পাসে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রবেশের প্রতিবাদে দ্বিতীয় দিনের মত আন্দোলনে মুখর বুয়েট ক্যাম্পাস। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ি শনিবার সকাল ৮টা থেকে পরীক্ষা বর্জন করে ক্যাম্পাসের মূল ফটকের সামনে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা।
এসময় তারা ছয়দফা দাবিতে বিক্ষোভ করেন। দাবি আদায়ে গণ সাক্ষর সংগ্রহ করা হয়। ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে অবস্থান করায় বুয়েটের ২১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ রাব্বিসহ ছয়জনকে স্থায়ী বহিস্কারের আল্টিমেটাম দেন আন্দোলনকারীরা। সেই সাথে ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালকের পদত্যাগের দাবি জানান।
এ ঘটনায় জড়িত বহিরাগতদেরও আইনের আওতায় আনার দাবি তোলেন শিক্ষার্থীরা। শনিবার বেলা ১১টার পর শহীদ মিনার থেকে সরে গিয়ে বুয়েটের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। বেলা ১২টার দিকে কয়েকজন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ায় বিক্ষোভ শেষ করে, নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন শিক্ষার্থীরা।
এদিকে, ঘটনা তদন্তে ৬ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে বুয়েট কর্তৃপক্ষ। কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য।
অন্যদিকে ক্যাম্পাসে নানা ভাবে হয়রানির শিকার হওয়ার দাবি করে শনিবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করেন শিক্ষার্থীদের একটি অংশ। তারা জানান, আন্দোলনকে পুঁজি করে বিভিন্ন নিষিদ্ধ সংগঠন ক্যাম্পাসে সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছে।
উল্লেখ্য ২০১৯ সালে শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে হত্যার ঘটনায় বুয়েট ক্যাম্পাসে রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়। কিন্তু গত বুধবার রাতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি, দপ্তর সম্পাদকসহ অনেকেই বুয়েট ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন। এই ঘটনার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা।