
ছবি সংগৃহীত
জুলাই সনদ বাস্তবায়নে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলকে সন্তুষ্ট রাখতে দুটি বিকল্প প্রস্তাব নিয়ে এগোচ্ছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। শুক্রবার রাতে বিশেষজ্ঞ প্যানেলের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে এই সুপারিশ চূড়ান্ত হয়।
প্রথম প্যাকেজে রয়েছে—সংবিধান আদেশ জারি, সুপ্রিম কোর্টের অভিমত (সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ) গ্রহণ এবং গণভোট আয়োজন। এতে বিএনপির আদালতের মতামতের দাবি ও জামায়াতের সংবিধান আদেশের প্রস্তাব দুটিই স্থান পেয়েছে।
দ্বিতীয় প্যাকেজে সংসদ নির্বাচনের সঙ্গে গণপরিষদ বা সংবিধান সংস্কার সভা গঠনের প্রস্তাব রাখা হয়েছে। নির্বাচিত এমপিরা প্রথমে সংবিধান সংস্কার সভার কাজ করবেন, পরে সেটি সংসদে পরিণত হবে।
কমিশন সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার জানান, সব দলের মতামত নিয়ে অক্টোবরের শুরুতে চূড়ান্ত সংলাপ হবে। তবে দলগুলো এখনো নিজ নিজ অবস্থানে অনড়। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, রাজনৈতিক ঐকমত্য না হলে পুরো সংস্কার প্রক্রিয়া ঝুঁকিতে পড়বে।