
ছবি সংগৃহীত
মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে কারও বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) দাখিল হলেই তিনি আর কোনো নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না—এমন বিধান যুক্ত করে নতুন অধ্যাদেশ জারি করেছে সরকার। আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩–এর ২০(সি) ধারার সংশোধন অনুযায়ী, অভিযুক্ত ব্যক্তি সরকারি চাকরিতেও অযোগ্য হবেন।
এর ফলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগের মুখোমুখি হওয়ায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আসন্ন নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। একইভাবে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক এমপি সাইফুল ইসলাম, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফসহ আরও কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধেও বিচার প্রক্রিয়া চলছে।
অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, ফরমাল চার্জ গঠনের পর অভিযুক্ত ব্যক্তি সংসদ সদস্য, স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি, চেয়ারম্যান, মেয়র বা অন্য কোনো সরকারি পদে থাকতে পারবেন না। তবে কেউ যদি পরবর্তীতে খালাস পান, তাহলে এ বিধান তাঁর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না।
এদিকে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধেও আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু হয়েছে। এ জন্য বিশেষ কর্মকর্তারা নিয়োগ পেয়েছেন, যারা দ্রুত তদন্ত কাজ শেষ করবেন।
তিনি বলেন, “বিচারাধীন মামলাগুলোর সাক্ষ্যে আওয়ামী লীগের সম্পৃক্ততার কথা এসেছে। এগুলো এখন আদালতের নথিতে আছে এবং ভবিষ্যৎ তদন্তে প্রমাণ হিসেবে গণ্য হবে।”
তাজুল ইসলাম আরও জানান, আপাতত শুধু আওয়ামী লীগের বিষয়েই তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রয়োজনে পরে অন্য দলগুলোর বিরুদ্ধেও তদন্ত হতে পারে।