
ছবি: ইন্টারনেট
ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ আদালত এক রায়ে বলেছেন, সদস্য রাষ্ট্রগুলো চাইলেই ধর্মীয় প্রতীক বহন করে এমন পোশাক পরিধান থেকে জনগণকে বিরত রাখতে পারবে। রয়টার্স জানায়, মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) ধর্মীয় পোশাকের উপর এ বিধিনিষেধ দেয় ইউরোপের কোর্ট অফ জাস্টিস (ইসিজে)।
এর আগে, পূর্ব বেলজিয়াম মিউনিসিপালিটিতে (পৌরসভায়) কর্মরত এক মুসলিম নারী আদালতে অভিযোগ করেন কর্মস্থলে তাকে হিজাব পরিধানে বাধা দেয়া হচ্ছে। ওই নারী বলেন হিজাব পরিধান না করতে দেওয়ায় তার ধর্মীয় স্বাধীনতা লঙ্ঘিত হয়েছে। এই প্রেক্ষিতে মিউনিসিপালিটি কর্তৃপক্ষের নতুন একটি নিয়মে বলে, একটি নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশের জন্যই তাদের কর্মীদের ধর্মীয় পোশাক পরিধান থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছে। এরপর এই নিয়মের বিরোধিতা করে আদালতের দ্বারস্থ হয় ওই নারী।
মঙ্গলবার বেলজিয়ামের ওই নারীর মামলার রায়ে ইসিজে বলেন, ইউরোপের আইন অনুযায়ী পৌরসভা কর্তৃপক্ষের গৃহীত সিদ্ধান্ত বৈষম্য সৃষ্টি করেনি। আদালত আরও বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য রাষ্ট্রগুলো চাইলেই তাদের নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি অনুসারে যে কোন পদক্ষেপ নিতে পারবে। এছাড়াও, কোন কর্মী বা প্রশাসনের কার্যক্রমে রাজনৈতিক, দার্শনিক বা ধর্মীয় বিশ্বাসের দৃশ্যমান লক্ষণ দেখা দিলে, একটি নিরপেক্ষ কর্তৃপক্ষ তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নিবে।
বেশ অনেকদিন ধরেই হিসাবের বিষয়টি নিয়ে ইউরোপে বিতর্ক চলছে। এর আগে ২০২১ সালে আদালতের আরেকটি রায়ে বলা হয়, প্রতিষ্ঠানের আদেশের পরেও যদি কোন কর্মী হিজাব পরিধান থেকে বিরত না থাকে, তবে প্রতিষ্ঠানটি চাইলেই ওই কর্মীকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করতে পারবে।
প্রসঙ্গত, ফ্রান্সে স্কুল এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে ধর্মীয় পোশাকের উপর কঠোর ভাবে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। ২০০৪ সাল থেকেই ফ্রান্সের স্কুলগুলোতে হিজাব ও ধর্মীয় পোশাক নিষিদ্ধ। এ বছর আগস্টে ফ্রান্সের শিক্ষামন্ত্রী গ্যাব্রিয়েল আটাল বলেছিলেন স্কুলের শিক্ষার্থীরা বোরকা বা ঢিলেঢালা বড় পোশাক পরা নিষিদ্ধ করা হবে।