
ছবি: ইন্টারনেট
সৌদি আরবের দুর্নীতি দমন কর্তৃপক্ষ একটি ফৌজদারি মামলার তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছে। শনিবার এক ঘোষণার মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
দুর্নীতি দমন কর্তৃপক্ষের আরেক নাম নাহাসা। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, ফৌজদারি অপরাধে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের দুইজন কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, একজন বিদেশি বিনিয়োগকারীর কাছে থেকে ২৩ মিলিয়ন সৌদি রিয়াল বিনিয়োগের স্বাক্ষর নিয়ে তার কাছ থেকে ৬০ হাজার সৌদি রিয়াল আদায় করা হয়। খবর আরব নিউজের।
আটককৃত ব্যক্তিরা হলেন, মেটাব সাদ আল ঘানম, হাতেম মাস্টর সাদ বিন তৈয়ব এবং ফিলিস্তিনি বিনিয়োগকারী সালেহ মোহাম্মদ সালেহ আল সালাউত।
এ মামলায় কয়েকজন বাংলাদেশিকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলেন, আশরাফ উদ্দিন আখনাদ, আলমগীর হোসেন খান, শফিক শাহজাহান, মোহাম্মদ নাসের উদ্দিন নুর, মোহাম্মদ রফিক, মুসলিম উদ্দিন ও আল আমিন খান।
সৌদি কর্তৃপক্ষ বলছে, এর মধ্যে মোহাম্মদ নাসের উদ্দিন নুরের বাংলাদেশে একটি রিক্রুটিং এজেন্সি আছে। এ ছাড়া আল আমিন খান দেশটিতে ভিজিট ভিসায় রয়েছেন। এ ঘটনায় আরও বেশ কয়েকজন সৌদি নাগরিককে আটক করা হয়েছে।
সৌদি কর্তৃপক্ষ বলছে, অভিযুক্তরা এরই মধ্যে বাংলাদেশে সৌদি দূতাবাসের অসাধু কর্মীদের সঙ্গে যোগসাজশে ভিসা বাণিজ্যে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
কর্তৃপক্ষ বলেছে যে প্রাথমিক তদন্তের পর আরও দু'জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশে সৌদি দূতাবাসের কনস্যুলার বিভাগের প্রধান ও সাবেক উপরাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ ফালাহ মুদি আল-শামারি এবং দূতাবাসের কনস্যুলার বিভাগের উপপ্রধান খালেদ নাসের আয়েদ আল-কাহতানি।